কাগজ ডেস্ক :
উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে মার্কিন পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম সাবমেরিনের বর্তমান উপস্থিতির মাধ্যমে আইনি শর্ত পূরণ করায় পিয়ংইয়ং তার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক তাদের সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে, কূটনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র সহ অন্যান্য অস্ত্রের উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক শক্তি প্রদর্শন বৃদ্ধি করেছে এবং ১৯৮১ সালের পর প্রথমবারের মতো পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম একটি মার্কিন সাবমেরিন এই সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বন্দর ভিড়েছে।
পিয়ংইয়ংয়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কাং সান ন্যাম বলেছেন, মার্কিন ওহাইও-শ্রেণীর সাবমেরিনের বুসান বন্দরে আগমন ‘পরমাণু শক্তি নীতি সম্পর্কিত উত্তর কোরিয়ার আইনে নির্দিষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের শর্তের মধ্যে পড়তে পারে’। উত্তর কোরিয়ার এক কর্মকর্তা তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ কথা জানান।
উত্তর কোরিয়া গত বছর একটি সুস্পষ্ট পারমাণবিক আইন গ্রহণ করেছে, এমন পরিস্থিতির একটি বিন্যাস তৈরি করেছে যেখানে হুমকি দেওয়া হলে আগাম প্রতিপক্ষের অবস্থানে প্রথম হামলা সহ তার কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
কাং বলেছেন, সাবমেরিনটির উপস্থিতি ডিপিআরকে-এর জন্য একটি প্রচ্ছন্ন এবং সরাসরি পারমাণবিক হুমকি’ এবং এর অর্থ হলো ‘প্রায় ৪০ বছর পরে প্রথমবারের মতো কোরীয় উপদ্বীপে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে।’
‘মার্কিন সামরিক পক্ষের বুঝতে হবে যে তাদের পারমাণবিক সম্পদগুলি অত্যন্ত বিপজ্জনক জলসীমায় প্রবেশ করেছে।’ তিনি সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি প্রচারিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বুধবার ওহাইও-শ্রেণীর সাবমেরিন পরিদর্শন করেছেন এবং পিয়ংইয়ংকে সতর্ক করেছেন যে, দক্ষিণের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হলে, ‘এটি তার শাসনের পতনের দিকে নিয়ে যাবে।’
ওহাইও-শ্রেণির সাবমেরিন ২০টি ট্রাইডেন্ট-২ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। মার্কিন নৌবাহিনী সাধারণত নিশ্চিত করে না যে সাবমেরিন সমুদ্রে যাওয়ার আগে পারমাণবিক অস্ত্র বহন করছে কিনা।
উত্তর কোরিয়ার যেকোনো পারমাণবিক হামলার বিরুদ্ধে তাদের যৌথ প্রতিক্রিয়া উন্নত করতে মিত্ররা মঙ্গলবার সিউলে তাদের প্রথম পারমাণবিক পরামর্শদাতা গোষ্ঠীর সাথে বৈঠক করেছে।