করোনভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে ১০টি বসতঘর পুড়ে গেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার ১৬নং সাহেলখালী ইউনিয়নের গজারিয়া এলাকার জহির উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, আসবাবপত্র, জায়গা জমির দলিল, পাসপোর্ট, প্রয়োজনীয় কাজপত্র সহ প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো দাবি করেছে।
ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন নুরছাপা, রাশেল, মিয়াচাঁন লাতু, গিয়াস উদ্দিন, খুরশিদ আলম, মোঃ শাহজাহান, রিদোয়ান, ফজলুল হক, বদিউল আলম ও নুরছাপা মনা। এছাড়া আবুল কালাম, আব্দুল কাইয়ুম ও জামাল উদ্দিনের ঘর আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ গিয়াস উদ্দিন জানান, গতরাত আনুমানিক ৩টার দিকে বদিউল আলমের ঘর থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখায় সব পুড়ে গেছে। পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এতে প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবী মাঈনুল ইসলাম টিপু জানান, এমনিতে করোনাভাইরাস মহামারিতে ওই বাড়ির সবাই অনেক কষ্টে জীবন পার করছেন। তার উপর এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তাদের থাকার সম্বল বসতঘরও শেষ হয়ে গেল। খুব কষ্ট লাগছে তাদের জন্য। আমি সরকারি, বেসরকারি সংস্থা, সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি ও মানুষদের অনুরোধ করবো এই দূর্যোগ সময়ে সবাই ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।
সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে আমি দ্রুত ওই বাড়িতে ছুটে গেছি। তাৎক্ষনিক তাদের দুই শ’ কেজি চাউল ও নগদ অর্থ দিয়েছি। বিকেলে ক্ষতিগ্রস্থদের শাড়ি দেয়া হবে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে ইউএনও স্যার বরাবরে পাঠিয়েছি।
এ বিষয়ে মিরসরাই ফায়ার ষ্টেশন ও সিভিল ডিফেন্সের ষ্টেশন তানভীর আহমেদ বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। সময় মতো পৌঁছাতে না পারলে ওই বাড়ির অন্য ঘরগুলো রক্ষা করা সম্ভব হতো না।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, সাহেরখালীতে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনেছি। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান সহ ঘটনাস্থলে যাবো। তাৎক্ষনিকভাবে তাদের সহায়তা করবো। এছাড়া সরকারিভাবে সহায়তার জন্য তাদের তালিকা করে ডিসি স্যারের কাছে পাঠাবো।