উজানের ঢলের কারণে মুন্সীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) জেলার ভাগ্যকূল পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার এবং মাওয়া পয়েন্টে ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিগতদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।
নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পদ্মা নদী সংলগ্ন জেলার তিন উপজেলা টঙ্গীবাড়ী, লৌহজং ও শ্রীনগরের মোট ১৩টি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা পানিতে প্লাবিত রয়েছে। ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। পানিবন্দি রয়েছে ২৫টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সাথে বেশ কিছুদিন ধরে দিয়েছে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উজান থেকে নেমে আসা স্রোতে পদ্মায় আগামী বেশ কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানান, বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য চাল, শুকনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট বিতরণ করা অব্যাহত রয়েছে। আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলোও খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বন্যা দুর্গতরা নিজ নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন। কেউ এখও কোনো আশ্রয়ণ কেন্দ্রে অবস্থান নেননি।