‘স্টারবাকস্ বারিস্তা’–এ একটি কফি অর্ডার করেছিলেন মুসলিম নারী। তার নামের বদলে কাপে লেখা হলো ‘আইসিস’।
ঘটনাস্থল যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা, যেখানে শ্বাসরোধ করে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে খুন করেছিল পুলিশ। সেখানেই ফের ১ জুলাই ঘটে গেল এক বিদ্বেষমূলক ঘটনা। এবার শিকার হলেন আমেরিকার এক মুসলিম নারী। ‘স্টারবাকস্ বারিস্তা’–এর মালিক সংস্থা ‘টার্গেট কর্পোরেশন’–এর নামে বৈষম্যের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন আইশাহ।
তিনি এক কাপ কফি অর্ডার করেছিলেন। পাত্রের গায়ে নাম লিখে খদ্দেরকে খাবার দেওয়ার রীতি আছে সেখানে। কিন্তু মুসলিম বলে আইশাহ্র কাপে নাম না লিখে লেখা হলো ‘আইসিস’। ‘আইসিস’ মানে ‘আইএসআইএস’, যার পুরো নাম ‘ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া’। এটি একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে এরা।
কেবল ধর্ম এক বলে একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সেই নারীকে মিলিয়ে অপমান করল ‘স্টারবাকস্ বারিস্তা’। তিনি জানালেন, কফিটা অর্ডার করার সময়ে নিজের নাম তিনি কাউন্টারে বলেছিলেন। বারবার জিজ্ঞেস করায় ধীরে ধীরেও নিজের নাম বলেছিলেন। অর্ডার যে নিচ্ছিলেন, কোনোভাবেই সম্ভব নয় যে তিনি ‘আইশাহ্’–কে ‘আইসিস’ শুনবেন। তার নাম যে খুব একটা অপরিচিত নাম তাও নয়। ‘আমি যে মুহূর্তে এটা দেখেছি, আমার প্রচণ্ড খারাপ লেগেছে। অপমানিত বোধ করেছি। এটি এমন একটি শব্দ যা সমগ্র বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের বদনাম করে। আর এই যুগে দাঁড়িয়েও যে এরকম কিছু করা যেতে পারে, সেটাই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এটি ঠিক নয়।’
আইশাহ্ ম্যানেজারের কাছে এই নিয়ে তখনই অভিযোগ জানালে তিনি বলেন, এটা ভুলবশত হয়ে গিয়েছে। তাকে নতুন একটি কফি আর ২৫ ডলারের গিফট কার্ড দেয়া হয়। কাউন্সিল অন আমেরিকান–ইসলামিক রিলেশন এই মামলাটির দায়িত্বভার হাতে নিয়েছে। সোমবার মিনেসোটার মানবাধিকার বিভাগে একটি মামলা করা হয়েছে।
‘টার্গেট কর্পোরেশন’ একটি বিবৃতি পেশ করেছে, ‘এই ঘটনাটি জেনেবুঝে হয়নি। ভুলবশত এই কাজটি করা হয়েছে। তবে আমরা তদন্ত করছি। এবং খেয়াল রাখব এরপর থেকে যাতে এরকম ভুল আর না হয়। তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেয়া হবে।’
সূত্র : সিএনএন/আজকাল/মারকারি নিউজ