বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচিলা গ্রামে মৃত বাবার নামে মিলাদ পড়াকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালের এ ঘটনায় আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হলদিয়ার পূর্ব চিলা গ্রামের মৃত্যু অয়াকুব আলী মৃধার দুই ছেলে আ: রাজ্জাক মৃধা ও আইয়ূব আলী মৃধা। রোববার মৃত পিতার নামে মিলাদ ও দোয়া পড়াবে বলে ছোট ভাই আইয়ূব আলী মৃধা বড় ভাই রাজ্জাক মৃধা ও তার পরিবারের সকলকে তার বাড়িতে দাওয়াত দেন। কিন্তু ছোট ভাইয়ের দাওয়াতে বড় ভাই ও তার পরিবার অংশ না নেয়ায় গত সোমবার রাতে দুই ভাইয়ের স্ত্রীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এই কথা কাটাকাটির রেশ ধরে মঙ্গলবার সকালে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে লাঠিসোটা নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে মহিলাসহ উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, বড় ভাই আ: রাজ্জাক (৬৫) তার স্ত্রী হাওয়া বেগম (৫০), ছেলে রিপন মৃধা (৪০) ছোট ভাই আইয়ূব মৃধা (৫০) ও তার ছেলে মাসুদ মৃধা (৩৫)।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা হেল্প লাইনে (৯৯৯) ফোন করে ঘটনা জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাড়ির মুরুব্বিরা এ ঘটনার বিচার সালিশ করবেন বলে পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন।
আহত ছোট ভাই আইয়ূব মৃধা অভিযোগ করে বলেন, গত রোববার আমার মৃত পিতার নামে মিলাদ ও দোয়া পড়াব বলে বড় ভাই ও তার পরিবারের সকলকে আমার বাড়িতে দাওয়াত দেই। তারা ওই দোয়া মিলাদে অংশ নেয়নি। গত সোমবার রাতে আমি আমার বড় ভাইয়ের কাছে এর কারণ জানতে চাই। এনিয়ে আমাদের দু’ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আমার বড় ভাই তার ছেলেকে নিয়ে আমাকে ও আমার ছেলেকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেছে।
বড় ভাই আ: রাজ্জাক মৃধা বলেন, উল্টা আমার ছোট ভাই ও তার ছেলে আমার স্ত্রী, ছেলে ও আমাকে মেরে আহত করেছেন।
আমতলী থানার এসআই মো: জুয়েল মুঠোফোনে বলেন, ৯৯৯ ফোন পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উভয় পক্ষকে শান্ত করি। বাড়ির মুরুব্বিরা এ ঘটনার বিচার সালিশ করবেন বলে মুচলেকা দিলে সেখান থেকে আমরা চলে আসি।
তিনি আরো বলেন, উভয় পক্ষের নারীসহ কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। তারা সকলে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।