জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম খানের হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহের ডিবি ও কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আশিকুজ্জামান আশিকের স্বীকারোক্তিতে হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়।
সোমবার দুপুরে পুলিশ কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়ে পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান জানান, গত পহেলা এপ্রিল সেহরির সময় নগরীর তিনকোণা পুকুরপাড় এলাকায় ভাড়া বাসায় অবস্থানরত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম খানের মোবাইল চুরি করতে যায় এলাকার পেশাদার চোর ও মাদকসেবী আশিকুজ্জামান আশিক। এসময় তৌহিদুল চোরকে ধরে ফেলায় উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ঘরে থাকা রড দিয়ে ভিকটিমকে আঘাত করে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায় আশিক।
বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তৌহিদুলকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার দু’দিন আগে ভিকটিম তৌহিদের সাথে তার ভাড়াটিয়া বাসার গলিতে রমজানে সিগারেট খাওয়া নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। তৌহিদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন চুরি করার পরিকল্পনা করে এবং তৌহিদের বাসা চিনে রাখে।
এ ঘটনায় তৌহিদুলের পিতা সাইফুল ইসলাম কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ মৃত্যুর আগে তৌহিদুলের দেয়া তথ্য ও মোবাইলে হুমকির একটি ম্যাসেসের সূত্র ধরে রোববার বিকেলে গোহাইলকান্দি এলাকার সোহেল মিয়ার ছেলে আসামি আশিকুজ্জামান আশিককে (২৭) আকুয়া বোর্ডঘর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।