কাগজ প্রতিবেদক :
ময়মনসিংহ নগরীর কেওয়াটখালি এলাকার সময় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে এক রোগীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে যায় মাদক নিরাময় কেন্দ্রের লোকজন। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদি হয়ে শুক্রবার থানায় একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ জানায়, নগরীর কেওয়াটখালী বাগানবাড়ি এলাকায় সময় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রটি কোনো ধরণের অনুমোদন না নিয়েই পরিচালিত হচ্ছিল। এটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন আশিকুর রহমান ও পরিচালক ছিলেন মো. রনি সরকার। নিরাময় কেন্দ্রেটিতে গত ১৭ দিন আগে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন নগরীর ধোপাখলা বাঁশবাড়ি কলোনির তারিকুল ইসলাম শাহিন (২৯)। কলোনীর মৃত নূরুল ইসলাম আকন্দের ছেলে শাহিনকে তার মামা আবদুল হালিম কেন্দ্রটিতে নিয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আবদুল হালিমকে ফোন করে ভাগ্নের শারীরিক অসুস্থতার খবর দেওয়া হয়। পরে তারা গিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
এসময় নিরাময় কেন্দ্রের কাউকে পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই মাদক নিরাময় কেন্দ্রে গেলে সেটি তালাবদ্ধ পায়। রাতেই নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তিকৃত ৯ রোগীকে সরিয়ে পপুলার মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে স্থানান্তর করে তালা বদ্ধ করে মালিকপক্ষ পালিয়ে যায়।
নিহতের মামা আবদুল হালিম অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাগ্নেকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে লোকজন। এ হত্যারকান্ডের বিচার চাই।
এ ঘটনায় নিহতের মা শেফালী আক্তার বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে ঘটনার পর থেকে আশিক ও রনি সরকার পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তার মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।##