লকডাউনে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ায় চলতি বছর প্রায় ৫ কোটি ৪০ লাখ আমেরিকান খাদ্যাভাবে পড়তে পারেন। দেশটির জাতীয় ফুডব্যাংক নেটওয়ার্ক ফিডিং আমেরিকা এ তথ্য জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে জারি করা লকডাউনের কারণে গত কয়েক মাস অর্থনীতির চাকা বন্ধ ছিল। কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের চার কোটি মানুষ বেকারভাতা দাবি করেছে। এর ফলে প্রতি চার জনে এক জন অর্থাৎ ১ কোটি ৮০ শিশুর চলতি বছর খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন হবে। ২০১৮ সালের তুলনায় এই সংখ্যা ৬৩ শতাংশ বেশি। ফুডব্যাংকের সহযোগিতা না পেলে সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলতি বছর ৫ কোটি ৪০ লাখ মানুষকে ক্ষুধার্ত থাকতে হবে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের আগেও যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্য অনিশ্চয়তা মারাত্মক রূপ নিয়েছিল। এই খাদ্য অনিশ্চয়তা আগে রাজ্য থেকে রাজ্য এবং জেলা থেকে জেলায় ভিন্ন হতো। করোনার প্রাদুর্ভাবের পর এটি মহামন্দার সময়ের মতো অবস্থায় চলে এসেছে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পর মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে খাদ্য অনিশ্চয়তা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। এই রাজ্যের ১০ লাখ বাসিন্দার তিন চতুর্থাংশেরই চলতি বছর খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন পড়বে। লকডাউনের কারণে ক্যাসিনো, হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ থাকায় লাস ভেগাসে অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাই এখানেও চাহিদা রয়েছে বিপুল খাদ্য সহায়তার।
লাস ভেগাসের থ্রি স্কয়ার ফুড ব্যাংকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ল্যারি স্কট বলেন, ‘মানুষের খাদ্য সংকট দূর করতে প্রায় ৬৫ শতাংশ অতিরিক্তি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন : এটি দেশের সবচেয়ে বড় উলম্ফন। মানুষ ক্ষুধার্ত থাকতে যাচ্ছে, এটাই সত্য।’