যেসব এলাকায় সংক্রমণ বেশি অর্থাৎ প্রতি লাখে ৩০ জন করোনা রোগী আছে সেসব এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা দিয়ে লকডাউন করার পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে আরো অনেক এলাকা লকডাউন করা হবে। এ জন্য রোববার নতুন নির্দেশনা দেয়া হবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে। জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
লকডাউন করা এলাকা পুরো অবরুদ্ধ থাকবে। চিহ্নিত এলাকার চাকরিজীবীরা সাধারণ ছুটি ভোগ করবেন। ১৫ ই জুন পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অফিস কার্যক্রমের বিষয়ে যে নির্দেশনা দিয়েছিল ১৬ই জুন থেকে একই নির্দেশনা থাকবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। লকডাউন করা এলাকায় সরকারি-বেসরকারি সব চাকরিজীবীই ছুটি ভোগ করবেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোববার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
রেড জোনগুলোতে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় বুথ বসানো হবে জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, সেখানে চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
চারপাশ থেকে ওই অঞ্চলকে ঘিরে দেয়া হবে যাতে মানুষ বাইরে বের হতে না পারে। রেড জোন এলাকায় সবকিছু রেখেই পরিপূর্ণিভাবে এটা বাস্তবায়ন করা হবে। যেহেতু আমরা রেডজোন ঘোষণা করে সেখানে ব্লক করব, তাই ১৬ জুন থেকে এভাবেই চলতে থাকবে।
লকডাউন হতে পারে রাজধানীর ৪৯ এলাকা : রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্যমতে, রাজধানীর ৪৯টি এলাকায় ৬০ জনের বেশি নিশ্চিত করোনা রোগী রয়েছেন। সেই হিসাবে এসব এলাকা শিগগির লকডাউন হতে পারে। এলাকাগুলো হচ্ছে- আদাবর, আগারগাঁও, আজিমপুর, বাবুবাজার, বাড্ডা, বনশ্রী, বনানী, বংশাল, বাসাবো, বসুন্ধরা, চকবাজার, ডেমরা, ধানমণ্ডি, ইস্কাটন, ফার্মগেট, গেন্ডারিয়া, গ্রিনরোড, গুলশান, হাজারীবাগ, যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, কল্যাণপুর, কলাবাগান, কাকরাইল, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও, লালবাগ, লালমাটিয়া, মালিবাগ, মিরপুর, মিরপুর-১, মিরপুর-১২, মগবাজার, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, মুগদা, পল্টন, রাজারবাগ, রামপুরা, রমনা, শাজাহানপুর, শাহবাগ, শ্যামলী, শান্তিনগর, শেরেবাংলা নগর, তেজগাঁও, উত্তরা, ওয়ারী।