প্রথমবারের মতো একদল রোহিঙ্গাকে সাগর থেকে উদ্ধারের পর নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে।
এখবর নিশ্চিত করেছেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের। তিনি বলেন শনিবার রাত ২টা ৩৫ মিনিটে রোহিঙ্গাদের ওই দলটি ভাসানচরে পৌঁছায়। প্রাথমিকভাবে দলটিতে ২৮ জন রোহিঙ্গা ছিল বলেও জানান তিনি।
খায়ের বলেন, এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই রোহিঙ্গারা সাগরে নৌকায় ভাসমান ছিল। পরে তাদের উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করতে চেয়ে এক কর্মকর্তা জানান, ২৯ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার উপকূল থেকে কোস্টগার্ড উদ্ধার করে। তবে এখন যেহেতু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চলছে, এজন্যই তাদেরকে ভাসানচরে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
তাদেরকে যেহেতু এখন রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানো সম্ভব নয়, এজন্যই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হলে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদেরকে স্থানান্তর করা হবে।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চাইছিল। এদের মধ্যে ৫ জন শিশু, ১৯ জন নারী এবং ৫ জন পুরুষ। তবে এদের মধ্যে কেউ দালাল কিনা তা পরবর্তীতে অনুসন্ধান করে জানা যাবে বলে জানান তিনি।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা ও খাবার দেয়া হয়েছে। তাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে , ভাসানচরে বেড়িবাধ নির্মাণ, ঘরবাড়ি, সাইক্লোন শেল্টারসহ অবকাঠামো উন্নয়নের করা হয়।
তবে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা সেখানে যেতে অসম্মতি জানায়।
জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকেও বলা হয়, ভাসানচরে স্থানান্তরের আগে কারিগরি মূল্যায়ন শেষে রোহিঙ্গাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে।
ফলে সরকারের জোর চেষ্টা ও কয়েকদফা উদ্যোগ সত্বেও সেখানে একজন রোহিঙ্গাও পাঠানো সম্ভব হয়নি।
সূত্র : বিবিসি