করোনাভাইরাস মহামারির কারণে চলমান লকডাউনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল বিক্ষোভ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন হাজারো মানুষ। টেক্সাস, মেরিল্যান্ড, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও ওহিওতে এ বিক্ষোভ হয়।
এদিকে, দেশটির রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, রাজ্য সরকারগুলো ‘অকারণে’ সীমাবদ্ধতা তৈরি করেছে।
অপরদিকে, লকডাউনের বিরুদ্ধে ব্রাজিলের রাস্তায় নেমে এসেছেন দেশটির ড্রাইভাররা। ট্রাক, গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়ে হাজারো মানুষ রাজধানী রিও ডি জেনারিও, সাউ পাউলো ও ব্রাসিলিয়ার রাস্তায় নেমে এসেছেন। তারা সরকারেরও পদত্যাগ দাবি করেছেন।
দেশটিতে চলমান লকডাউনের কারণে কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
রিও’র লোকজনকে বিক্ষোভে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন এন্ডারসন মরিস নামে রাজ্যটির একজন আইনপ্রণেতা। তিনি বলেন, অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে জীবন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে আমরা আজকের সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। কারণ আমি জানি না আগামী দিন একটি পরিবার কী করবে, যখন সে দেখবে তার ছেলেমেয়েরা ক্ষুধার্ত হয়ে আছে।’
অবশ্য লকডাউন বৃদ্ধির বিপক্ষে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টও। তিনিও চান দেশটির অর্থনীতি খুলে দিতে। রাজনীতিবিদরা সবকিছু বন্ধ রাখছেন ও আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আতঙ্কটা অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো বলেন, জনগণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। প্রেসিডেন্ট প্যালেসের বাইরে জড়ো হওয়া সমর্থকদের ছোট একটি জমায়েতের সাথে বৈঠকের আগে ফেসবুকে লাইভে এসে তিনি এ কথা বলেন।
সূত্র : আলজাজিরা