পাহাড়ি ঢলের পানি ও অতিবর্ষণে সৃষ্ট বন্যার কারণে এরই মধ্যে লালমনিরহাটে অর্ধকোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।
লালমনিরহাটে তিস্তা-ধরলায় এবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। গত ১২ জুলাই তিস্তার নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহের এই রেকর্ড পরিমাপ করা হয়।
বন্যা পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত পানির চাপে ডুবে যায় জেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেসে গেছে উঠতি ফসলের ক্ষেত, বীজতলা, আউশ-আমন। ক্ষতি হয়েছে সবজি এবং মশলার জাতীয় কৃষি ফসল। ক্ষুদ্র প্রান্তিক চাষিরাই এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কৃষি বিভাগ সূত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে চলতি বছরের জুলাই মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত বন্যায় ফসলের ক্ষতির একটি হিসাব পাওয়া গেছে। সেখানে আপাতত আউশ, আমন, চিনাবাদাম, ভুট্টার ক্ষয়ক্ষতির হিসেব ধরা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এ হিসাবে শাকসবজির উৎপাদনকারী প্রান্তিক চাষিরা থেকে গেছে হিসাবের বাইরে।
প্রাথমিক পর্যায়ের এই হিসাব অনুযায়ী আমনের বীজতলার ক্ষতি হয়েছে ২৯ হেক্টরের। আউশ ধান নিমজ্জিত হয়েছে ৫ হেক্টর, ক্ষতি হয়েছে ১.২ হেক্টরের। চিনাবাদাম নিমজ্জিত হয়েছে ১ হেক্টর, ক্ষতি হয়েছে .৬ হেক্টরের। ভুট্টা নিমজ্জিত হয়েছে ১০ হেক্টর, ক্ষতি হয়েছে ৮.৫ হেক্টরের। এতে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯.৩০ হেক্টরে কৃষি খাতে ক্ষতি ধরা হয়েছে ৫৫,৫৫০০০ হাজার টাকা।