পিঠের চিকিৎসার জন্য এই মুহূর্তে লন্ডনে অবস্থান করায় ৩০ জুলাই শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপের অনুশীলন ক্যাম্পে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমকে পাওয়া যাবে কিনা নিশ্চিত নয়।
আজ রাজধানীর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের মাশরাফি বলেন, ‘আমি মনে করি পুরোপুরি ফিট হয়ে তামিমের ফেরা উচিত। সে পারফরমেন্স করবে এমন মানসিক প্রস্তুতিও থাকা উচিত। কেননা পারফরমেন্সই তার পক্ষে কথা বলবে।’
কে পক্ষে আছে বা কে নেই এসব নিয়ে চিন্তা না করে মানসিকভাবে তামিমকে আরও শক্ত হবার পরামর্শ দিয়েছেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে তাকে। তামিম এখন যে বয়সে আছে তাকে অবশ্যই পারফর্ম করতে হবে। দেশের জন্য ভাল কিছু এনে দিয়েই তার বিদায় নেওয়া উচিত।’
মাশরাফি আরও বলেন, ‘কোচ, ক্রিকেট বোর্ড তার পক্ষে বা আমরাও তার পক্ষে, কিন্তু কে তার পক্ষে থাকবে আর কে বিপক্ষে থাকাবে- এমন কিছু নিয়ে সে চিন্তিত থাকবে আমরা এটা চাই না। সে একজন পারফরমার এবং তাকে পারফর্ম করতে হবে। সে যদি পারফর্ম করে তবে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’
আফগানিস্তান সিরিজের মাঝপথে হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তামিম। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতের পর ২৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন তিনি। যার পিছনে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখেন মাশরাফি। তামিমের দেশকে আরও কিছু দেয়ার ক্ষমতা আছে বলে বিশ^াস করেন ম্যাশ।
মাশরাফি বলেন, ‘সে (তামিম) ১৫ হাজার রান করেছে। এটি সত্যি, সে দেশের জন্য অনেক কিছু করেছে। কিন্তু দিনের শেষে, যদি সে পারফর্ম না করে তবে কেউ এটি মনে রাখবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সে ইনজুরিতে ভুগছে এবং ইনজুরির কারণে পারফর্ম করছে না। ইনজুরি কাটিয়ে উঠতে হবে তাকে। আমি যেমন বলেছি, সঠিক জিনিসগুলো করার বিষয়ে। ইনজুরি নিয়ে তার ভাবা উচিত। যদি সে ফিট হয়ে ফিরে আসে, আমি নিশ্চিত সে অনায়াসে রান করবে এবং তার পুরোনো রুপে ফিরে আসবে।’
প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার সময় বিশ্বকাপ চলাকালীন মাশরাফিকে দলের মেন্টর হবার প্রস্তাব করেছিলেন তামিম। কিন্তু সাবেক অধিনায়ক জানান, মেন্টরের ভূমিকা কি তা জানেন না।
জাতীয় দলের মেন্টরের যখন কিছু করার নেই তখন তামিম কেন এমনটা চেয়েছিলেন তাতে অবাক হয়েছেন মাশরাফি।
মাশরাফি প্রশ্ন করে বলেন, ‘মেন্টরের ভূমিকা কি? একজন মেন্টর থাকলে দলের লাভ কি?
তিনি আরও বলেন, ‘একজন পরামর্শদাতা কি কাজে লাগে? আপনি কি আমাকে বলতে পারেন? আমি জানি না কেন সে (তামিম) চায়। আমি জানি না একজন মেন্টরের কাজ কি। ভবিষ্যতে যদি এমন পরিস্থিতি সৃস্টি হয়, এমন কিছু ঘটে তখন চিন্তা করা যেতে পারে।’
এর আগে, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় নিজস্ব এক শো’তে মাশরাফিকে মেন্টর হবার প্রস্তাব দিয়ে তামিম বলেছিলেন, ‘আমি যদি ২০২৩ বিশ্বকাপে অধিনায়ক হই এবং যদি বোর্ড অনুমতি দেয় তাহলে আমি আপনাকে (মাশরাফি) মেন্টর হিসাবে চাই।’
এরপরও মাশরাফির বলেন, ‘এগুলো এখন বলতে পারবো না। সময় হলেই বোঝা যাবে।’
মাশরাফি জানান, যদি প্রধানমন্ত্রী তাকে মেন্টর হিসেবে চায়, তাহলে মেনে নিতে হবে।
মাশরাফি বলেন, ‘ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মেন্টর হিসেবে চান তাহলে বিষয়টি ভিন্ন হবে। যদি তিনি চান তবে এটি নিয়ে তর্ক করার সুযোগ নেই।’