শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে করোনা সন্দেহে ভর্তি হওয়া এক যুবকের মৃত্যুতে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে জেলা প্রশাসন নড়িয়া উপজেলার ৫টি বাড়ি লকডাউন করাসহ রোগীর সংস্পর্শে আসা ২৩ ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনের আওতায় নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
শরীয়তপুর সদর হাসাপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনির আহমেদ খান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় নড়িয়া উপজেলার ৩৪ বছরের ওই রোগী শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও হাচি-কাশি নিয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। করোনা উপসর্গ সন্দেহ হওয়ায় তাকে আমরা আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় সে মারা যায়।
তিনি আরো জানান, নিহত ওই ব্যক্তি গত ১৯ মার্চ জ্বর, কাশি নিয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে পরীক্ষায় তাঁর যক্ষ্মা রোগ ধরা পড়ে। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ২৩ মার্চ সদর হাসপাতাল থেকে ফিরে গিয়ে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়েছে।
নড়িয়া উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম জানান, বুধবার বেলা ১১ টায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও ইসলামীক ফাউান্ডেশনের নীতিমালা অনুযায়ী স্থানীয় ৪ সদস্যের বিশেষ কমিটির কাছে হস্তার করা হয়। তারা সকল প্রক্রিয়া শেষ করে দুপুর পৌনে ১টায় তাকে দাফন করা হয়।
জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের শরীয়তপুর সিভিল সার্জনের বরাত দিয়ে জানান, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ওই ব্যক্তি প্রবাসী ছিলেন না। তবে কোন প্রবাসীর সংর্স্পশে এসেছিলেন কি না তার খোঁজ নেয়া হচ্ছে। সতর্কামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তার বাড়িসহ আশপাশের ৫টি বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তার সংস্পর্শে আসা ২৩ ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ওই ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার ফল আইইডিসিআর থেকে পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।