মঙ্গলবার থেকে গণস্বাস্থ্যের আবিষ্কৃত করোনা টেষ্টিং কিট দিয়ে কেবল ইমার্জেন্সি রোগীদের করোনা টেস্ট করবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। শনিবার বিকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা কেবল যে সকল ইমার্জেন্সি রোগী আছে তাদের টেষ্ট করবো। যেমন প্রেগনেন্সির সময় যদি কারো জ্বর থাকে এবং ডাক্তার যদি টেস্ট করার পরামর্শ দেয়া হয়, তবে আমরা তার টেস্ট করব। এরকম আরো অন্য যে সকল ইমারজেন্সি রোগী আছে আমরা তাদের টেস্ট করব। কিন্তু কেউ যদি এসে বলে, আমি টেস্ট করে দেখতে চাই যে আমার করোনা আছে কিনা, সে ক্ষেত্রে আমরা তার টেষ্ট করবো না।
সীমিত আকারে পরীক্ষা চালাবেন কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকার আমাদের কোনো সহায়তা করছে না। তাই আমাদের সীমাবদ্ধতার মাঝে কাজ করতে হচ্ছে। সরকারের সহয়তা পেলে আমাদের কার্যক্রম আরো গতিশীল হতো। এতে করে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হতো। সরকারের উচিত ছিল দেশের স্বার্থে, দেশের জনগণের স্বার্থে আমাদেরকে সহযোগিতা করা। আমি বলব কিছু অর্বাচীন আমলা একটি স্বার্থান্বেষী মহলকে ব্যবসায়িক সুবিধা দেয়ার উদ্দেশ্যে সরকারকে মিসগাইড করেছেন।
উল্লেখ্য, আজ সকালেই সরকারের অনুমোদন না পেলেও আগামী মঙ্গলবার থেকে নিজেদের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু করার কথা জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) আমাদেরকে কিটের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে। তাই আগামী মঙ্গলবার থেকে আমরা রাজধানীর ধানমণ্ডি ও সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নগর হাসপাতালে নিজেদের উদ্ভাবিত ‘জিআর র্যাপিড ডট ব্লট’ কিট দিয়ে করোনা পরীক্ষা শুরু করবো।
তিনি আরো বলেন, রোগীদের এন্টিবডি ও এন্টিজেন দুটিই পরীক্ষা করা হবে। এর জন্য রোগীদের রক্ত ও লালা দুটিই লাগবে। এন্টিবডি পরীক্ষার জন্য ৩০০ টাকা এবং এন্টিজেন পরীক্ষার জন্য রোগীদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে নেয়া হবে। তবে হাসপাতালে শুধু করোনা শনাক্তের পরীক্ষা করা হবে, এর চিকিৎসা দেয়া হবে না।