1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. editor@amadergouripur.com : Al Imran :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
গৌরীপুরে ১৮শ পিস ইয়াবাসহ জামাই-শ্বশুর গ্রেফতার গৌরীপুরে শতবর্ষী মসজিদের নতুন অসমাপ্ত ভবনের উদ্বোধন গৌরীপুরে মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক পরিষদের উদ্যোগে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব ইসরাইলি পণ্য বর্জনের স্লোগান দিয়ে দোকানে দোকানে লুট, গাড়ি ভাঙচুর গৌরীপুর আন্তঃব্যাচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের লটারি গৌরীপুরে আকিজের সেলসম্যানের হাত-পা বেঁধে নির্যাতন ও টাকা ছিনতাই, প্রতিবাদে মানববন্ধন গৌরীপুর মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক পরিষদ’র আহ্বায়ক সুমন, সদস্য সচিব মোখলেছুর গৌরীপুরে চার বছর বয়সী শিশু ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেফতার এ বছর ফিতরার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ হার নির্ধারণ গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান

শেরপুরে চাষ হচ্ছে বিদেশি ফল কোকোয়া

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩
  • ২৮২ Time View

বাসস :

জেলার গারো পাহাড়ে প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে বিদেশি ফল কোকোয়া। এটি মূলত: দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন উপত্যকার উদ্ভিদ। এর বীজ থেকে চকোলেট ও কফি কাঁচামাল তৈরি হয়।
কোকো বা কোকোয়া মধ্য আমেরিকার আরও কয়েকটি দেশে এর চাষ হচ্ছে। তারপর আফ্রিকার আইভরি কোস্ট, ঘানা, নাইজেরিয়া ও ক্যামেরুনেও এর চাষ হচ্ছে। এদিকে গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে কোকোয়া চাষ। গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল ফোটে গাছের কা-ে ও ডালে। ফুলগুলো আকারে ছোট, হালকা গোলাপি ও সাদা রঙের। পাকা ফলের ভেতরে পেঁপের মতো ফাঁকা আর কয়েকটি সারির ছোট ছোট বীজ থাকে। একটি গাছে শতাধিক ফল ধরে। প্রতিটি ফলে প্রায় ৩০টির মতো বীজ থাকে। যা খেতে মিষ্টি।
ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী বন্দবাটপাড় এলাকার জালাল উদ্দীন। দীর্ঘ ১০ বছর মালোশিয়ায় চাকুরী করেন। জালাল উদ্দীন জানান, ‘দীর্ঘদিন প্রবাসজীবন শেষে ১৯৯৮ সালে দেশে ফেরেন তিনি। আসার সময় তিনি মালোশিয়া হতে নিয়ে আসেন কোকোয়া বীজ। সেই থেকে শুরু বাগানের, এখন দিচ্ছে ফল। একেকটি গাছে শতাধিক করে ফল এসেছে। বর্তমানে তার বাগানে প্রায় হাজারখানেক চারা রয়েছে। আর মালোশিয়া থাকাকালীন এ বীজ দিয়ে চকলেট, কফি, কেক, বিষ্কুট, আইসক্রিম বানানো হয়। এমন একটি কারখানায় তিনি চাকরিও করেছেন।’
কোকোয়া বীজের প্রসেসিং সম্পর্কে জালাল উদ্দীন জানান, ‘পাকলে ফলের রং হয় মোটো লাল আবার কোনোটার গাঢ় হলুদ। পাকা ফলের ভেতরের বীজ বের করে শুকাতে হয়। তারপর এটিকে গুঁড়া করতে হয়। এর গুঁড়া থেকেই চকোলেট তৈরি হয়। বছরে দু থেকে তিনবার ফল সংগ্রহ করতে হয়। কোকোয়া গাছ শীতল ও গরম হাওয়া কোনোটাই সহ্য করতে পারে না। তাই হালকা রোদ পড়ে এমন ছায়াযুক্ত জায়গায় ভালো হয়।
পুষ্টিবিদ তাসলিমা আক্তার উর্মি বলেন, ‘এর বীজে আছে থিওব্রোমাইন, ক্যাফেন ও রঙিন বস্তু। সাবির্কভাবে বীজ উত্তেজক ও মূত্র রোগে বেশ উপকারী। থিওব্রোমাইন স্নায়বিক রোগের টনিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হৃদজনিত রোগে ‘এনজাইমা পেক্টোরিস’র ব্যথা উপশম করতে পারে চকোলেটের ক্বাথ। এছাড়াও চকোলেটের ফ্ল্যাভানল সমৃদ্ধ কোকোয়া মিল্ক ক্লান্তি দূর করতে, ইনসোমনিয়া প্রতিরোধে এমনকি শরীরের চামড়া টানটান রাখে যা বাধর্ক্য দূর করতেও কাজ করে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, ‘কোকোয়া বিদেশি ফল হলেও গত এক দেড় দশক ধরে আমাদের দেশে চাষ হচ্ছে। এটি ছায়াযুক্ত জায়গাতেও হয়। কোকোয়ার বাগানে মিশ্র ফসল হিসেবে আদা, হলুদ ভালো ফলন হয়। এ ফল চাষে ও চারা উৎপাদনে জামাল উদ্দীনকে নিয়মিত পরামর্শ সেবা দেয়া হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Designed and developed by Mymensinghitpark