১৬ জুলাই, ২০২৩, কাগজ প্রতিবেদক, শেরপুর
সারাদেশে চিকিৎসকদের নিগ্রহের বিরুদ্ধে ও নিরাপদ কর্মস্থলের দাবীতে শেরপুরে চিকিৎসকদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সেই মানববন্ধন থেকে আগামী ১৭, ১৮ জুলাই প্রাইভেট চেম্বার ও অপারেশন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসকরা। রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সেন্ট্রাল হাসপাতালের প্রসূতি ও নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় দুইজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নানা কর্মসূচি পালনের অংশ হিসেবে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনিকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এ কর্মসূচি পালন করেন। এতে সমর্থন প্রদান করে প্রতিবাদী এ মানববন্ধনে অংশ নিন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
এসময় অন্যানের মধ্যে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. খাইরুল কবীর সুমন ও নাহিদ কামাল, গাইনী কনসালটেন্ট ডা. হাসিনাতুল ফেরদৌস লোপা, সিনিয়র কনসালটেন্ট অ্যানেস্থেসিয়া ডা. নিলাদ্রী হোড়, কনসালটেন্ট (সার্জারী) ডা. মিজানুর রহমান,কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. কোহিনুর জাহান শ্যামলী, কনসালটেন্ট(মেডিসিন) ডা. আসাদুজ্জামান, কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক্স) ডা. মহিউদ্দিন আরিফ, গাইনোকলজিস্ট ডা. মুনমুন রায়সহ হাসপাতালের বর্হিবিভাগে কর্মরত চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল হসপিটালের অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার (গাইনি) অধীনে গত ৯ জুন ভর্তি হয়েছিলেন মাহাবুবা রহমান আঁখি। কিন্তু সে দিন ডা. সংযুক্তা হাসপাতালেই ছিলেন না। পরে তার দুই সহযোগী চিকিৎসক আঁখির ডেলিভারি করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জটিলতা দেখা দেওয়ায় নবজাতককে এনআইসিইউতে রাখা হয়। একই সঙ্গে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে ১০ জুন বিকেলে আঁখির নবজাতক সন্তান মারা যায়। এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী ধানমন্ডি থানায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’র একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়। এ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।