টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সুনামগঞ্জের নদীর পানি বাড়ছে। এতে জেলার ১১ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
শনিবার (১১ জুলাই) সকাল ৯টায় জেলার সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। এতে বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, জামালগঞ্জ উপজেলায় পানি ঢুকে সরাসরি সড়ক পথে জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
সকাল থেকে জেলাশহরের কাজীরপয়েন্ট, ষোলঘড়, সাহেব বাড়ীঘাট, নবীনগর, উকিলপাড়া, মধ্যবাজার এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। ইতিমধ্যে জেলার ১১ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান সকালে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি ও সুনামগঞ্জে আরও তিন/চারদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।
তিনি জানান, বন্যাকবলিত মানুষদের খাদ্যসামগ্রী দিতে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য খুলে দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।