বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষণায় জিয়াউর রহমান ছাড়া অন্য কারো কোনো ভূমিকা ছিল না। তিনি বলেন, সেক্টর কমান্ডার এ কে খন্দকার একাত্তরের ভেতরে বাহিরে যে বইটি লিখেছেন তার মধ্যেও তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন তিনি জিয়াউর রহমান ছাড়া অন্য কাউকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার কথা শোনেননি। এমনকি ঘোষণার জন্য অন্য কারো অবদান আছে বলে তার জানা নেই।
শনিবার বিকেল তিনটায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা।
মওদুদ বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পূর্নবাসিত করে ক্ষমতাসীন করেছেন। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে শহীদ জিয়াউর রহমান জনগনের রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭৯ সালে দেশকে দুর্ভিক্ষের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জিয়াউর রহমান দেশে দেশে হাত পেতেছেন। তিনি নিজে ফোন করেছেন এবং মন্ত্রীদের কে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন যে আমি যদি মানুষকে বাঁচাতে না পারি তাহলে এই দেশ দিয়ে কি করবো। আপনাদের মনে আছে কিনা জানিনা তার পরের বছর ১৯৮০ সালে আমরা বাংলাদেশ কিন্তু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছিলাম। এর মাধ্যমে বোঝা যায় জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক ও জনগণের জনবান্ধব প্রকৃত নেতা।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো অংশ নেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দিন আহমেদ, কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ ইব্রাহিম।