কাগজ প্রতিবেদক, শেরপুর
সেই ঐতিহ্যবাহী গাড়ো পাহার আজ কি অবস্থা! সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী, শ্রীবরর্দী, নালিতাবাড়ি উপজেলাজুড়ে রয়েছে বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এ এলাকা জুড়ে বিশাল প্রাকৃডুশ ও সৃজিত বন। আজ থেকে দশ পনেরো বছর আগে শাল-গজারী ও নানা রকমের বৈচিত্র্য প্রাণি থাকত এই গহীন অরণ্যে। কিন্তু কালের বিবর্তনে শূন্য হয়ে যাচ্ছে এই অরণ্য। পাহাড় ধ্বংস প্রাণি বৈচিত্র্য আবাস্থলে মানুষের অবৈধভাবে ঘনবসতি গড়ে উঠায় বিলুপ্ত হচ্ছে হিংস্র প্রাণি এবং জীবজন্ত। যে বনে জীবজন্ত-জানোয়ার থাকত সেই বনে অবৈধ ঘনবসতি গড়ায় আবাস্থল হারিয়ে কিছু কিছু জীবজন্তু খাদ্য ও বাসস্থানের সন্ধানে চলে আসছে লোকালয়ে। ফলে বনাঞ্চল হয়ে পড়ছে জীব বৈচিত্র্য শূন্য। আশ্রায় ও খাদ্যের অভাবে বন্যহাতির পাল আসছে তার সাথে ভাঙ্গছে মানুষের বাড়িঘর। খেয়ে সাবার করছে খেতের ফসল। হাতি তাড়াতে গিয়ে প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ জনগণ। বন বিভাগের অবহেলা ও গাফিলতি এবং সংরক্ষণের অভাব, বনাঞ্চল বেদখল কারণে হারিয়ে যাচ্ছে সেই ঐতিহ্যবাহী জীব বৈচিত্র্য। অথচ এক দেড় যুগ আগেও ছোট বড় মাঝারি সমতল পাহাড়ে অসংখ্য বন্য প্রাণি ও নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিল।