করোনাভাইরাসের মহামারির সময়ে দেশের অর্থনীতিতে স্বস্তি দিচ্ছে প্রবাসীদের আয় (রেমিট্যান্স)। ২৮ মে পর্যন্ত ১৩৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন বাংলাদেশিরা।
রোববার (৩১ মে) কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের মে মাসের ২৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। যা তার আগের মাস এপ্রিলের চেয়ে প্রায় ২৫ কোটি ডলার বেশি। এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। যা গত ৩০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৮৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
চলতি বছরের মার্চ মাসে ১২৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে। যা গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে সাড়ে ১২ শতাংশ কম। গত বছরের মার্চে রেমিট্যান্স আসে ১৪৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার।
এদিকে রেমিট্যান্সে সরকার ঘোষিত ২ শতাংশ প্রণোদনা সহজে যেন পান সেই জন্য বেশকিছু শর্ত শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতদিন দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত রেমিট্যান্সের প্রণোদনায় কোনো ধরনের কাগজপত্র লাগত না। এর আওতা বাড়িয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার বা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত রেমিট্যান্সে বিনা শর্তে কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই প্রণোদনার অর্থ প্রদান করা হবে। পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকার ওপরে কাগজপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে। এতদিন প্রণোদনা পেতে হলে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রাপক ওঠানোর ১৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হতো। এখন তা বাড়িয়ে দুই মাস করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের লকডাউনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা অনেক প্রবাসীর আয় বন্ধ হয়ে যায়। আবার অচলাবস্থার কারণে অনেকে দেশে অর্থ পাঠাতে পারেননি। এসব কারণে গত দুই মাস রেমিট্যান্সের প্রভাব কমেছে। তবে আস্তে আস্তে এখন বিশ্ব পরিস্থিতি উন্নত হচ্ছে। ঈদের আগে প্রতি বছরই দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে। গত বছরের ঈদের আগে মে মাসে ১৭৪ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল প্রবাসীরা। এ বছর প্রাণঘাতী ভাইরাসের কারণে কিছুটা হোঁচট খেয়েছে। তবে মে মাসে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ তার আগের দুই মাসের চেয়ে বেশি।