কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচির ৬৫৫ বস্তা চাল আত্মসাতের অভিযোগে সাতক্ষীরায় ইউনিয়ন পরিষদের ২ সদস্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল বাদী হয়ে মামলা করেন।
রোববার (২৮ জুন) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরা কালিগঞ্জের তারালি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম, চাম্পাফুল ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল গণি, সাতক্ষীরার বাসিন্দা মো. লিয়াকত হোসেন সরদার, আব্দুল খালেক কারিগর।
এছাড়া সাতক্ষীরার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মিরাজ হোসেন খান ও ওই এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ সাধুকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা পরস্পর যোগসাজেশে জালিয়াতির মাধ্যমে কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৯টি কাবিখা প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন না করে বরাদ্দকৃত মোট ৬৫৫ বস্তা বা ৩৯ হাজার ৩০০ কেজি চাল আত্মসাৎ করেন। যে কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯,৪২০,৪৬৮,৪৭১,৪৭৭ (ক). ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়।
সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীন খাদ্যবান্ধব কার্যক্রমের বিভিন্ন অনয়িম-দুর্নীতির অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও ইউপি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের মোট ১৬টি মামলা দায়ের করে দুদক।