রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্য মতে সারাদেশে বুধবার পর্যন্ত প্রায় ২০টি জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসে এখন সবচেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি রাজধানী ঢাকাতে। ঢাকায় বুধবার পর্যন্ত সর্বমোট ১২৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশে জরুরিভিত্তিতে রাজধানীর ৫২টি এলাকা লকডাউন করা হয়েছে।
বর্তমানে ঢাকার লকডাউন এলাকাগুলো হলো- মিরপুরের টোলারবাগ, খাজে দেওয়ান লেনের ২০০ ভবন, মোহাম্মদপুর, আদাবরের ৬টি এলাকা, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের সামনে, তাজমহল রোড মিনার মসজিদ এলাকা, রাজিয়া সুলতানা রোড, বাবর রোডের একাংশ, বছিলা ও আদাবর, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, মহাখালীর আরজত পাড়ার একটি ভবন, বসুন্ধরা এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতালসংলগ্ন এলাকা, বসুন্ধরা ডি ব্লকের রোড-৫, বুয়েট এলাকার একাংশ, ইস্কাটনের দিলু রোডের একাংশ, উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের একটি সড়ক এলাকা, কাজীপাড়ার একাংশ, সেন্ট্রাল রোডের কিছু অংশ, সোয়ারীঘাটের কিছু অংশ, মিরপুর-১০-এর ৭ নম্বর রোড, পল্টনের কিছু অংশ, আশকোনার কিছু অংশ, নয়াটোলার একাংশ, সেনপাড়ার একটি অংশ, মীর হাজিরবাগের একাংশ, নন্দীপাড়ার ব্রিজের পাশের এলাকা, মিরপুর সেকশন ১১-এর একটি সড়ক, লালবাগের খাজে দেওয়ান রোডের একটি, ধানমন্ডি-৬’এর একটি অংশ, উত্তর টোলারবাগ, মিরপুর-১৩ ডেসকো কোয়ার্টার, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী, পশ্চিম মানিকনগর, নারিন্দার কিছু এলাকা, গ্রিন লাইফ হাসপাতাল এলাকা, ইসলামপুরের একাংশ।
এছাড়াও সারাদেশে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা জেলাগুলোর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ৪৬ , মাদারীপুরে ১১, গাইবান্ধায় ৫, জামালপুরে ২, মানিকগঞ্জে ৩, চট্টগ্রামে ৩, নরসিংদী ৪, টাঙ্গাইলে ২, কুমিল্লায় ২, ঢাকা সিটির পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ৫ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আরো নীলফামারী, রাজবাড়ী, রংপুর, শরীয়তপুর, শেরপুর, সিলেট, গাজীপুর, কেরানীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার ও চুয়াডাঙ্গায় ১ জন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, সারাদেশে বুধবার পর্যন্ত কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত সন্দেহে সর্বমোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে দুই হাজার ২৭১ জনের। এর মধ্যে শুধু আজকে পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৭৯ জনের নমুনা।
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ৫৪ জন আক্রান্তসহ সারাদেশে সর্বমোট আক্রান্ত এখন ২১৮ জন ও মৃত্যু হয়েছে মোট ২০ জনের। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ জন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে বাংলাদেশে রোজই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গত
কয়েক দিনের মধ্যে আজ সবথেকে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে।
আতঙ্কের বিষয় হলো বাংলাদেশ এখন কোভিড-১৯ ‘এ মৃতের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। এই হার আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র : আইইডিসিআর