নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
সেই সাথে তার সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক ও নার্সসহ ২৪৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা এবং তার কর্মক্ষেত্র লকডাউন করে দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই চিকিৎসক ২৫ মার্চ ছুটি নিয়ে ঢাকার বাড়িতে যান। তিনি ৩ এপ্রিল কর্মস্থলে যোগ দেয়ার পর জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন। ৫ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় স্বাস্থ্য বিভাগ। মঙ্গলবার বিকেলে পাওয়া ফলে দেখা যায়, তিনি সংক্রমণের শিকার।
নীলফামারীর সিভিল সার্জন রণজিৎ কুমার বর্মন বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেল ৫টার পর থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি লকডাউন করা হয়েছে। ওই চিকিৎসকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সব চিকিৎসক ও কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
হাসপাতালটি লকডাউনে থাকায় উপজেলাবাসীকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিতে ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বাহাগিলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলু জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চিকিৎসক যে ফার্মেসিতে বসে রোগী দেখতেন তার মালিকের বাড়ি এবং নারায়ণগঞ্জ ফেরত একজনের বাড়ি লকডাউন করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন করাসহ ওই চিকিৎসকের কাছাকাছি ছিলেন এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে লাল পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।’