বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে আরো জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, ‘এই খুনির ফাঁসির রায় অবশ্যই কার্যকর হবে, তবে তার আগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বঙ্গবন্ধু ও জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিল সেই তথ্য জানা যাবে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে বঙ্গবন্ধুর বাকি খুনিরা কোথায় পালিয়ে আছে।’
বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন শহীদ এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম এ দাবি জানান।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, ‘তার বিচার হয়েছে, বিচারের রায় কার্যকর হবে। কিন্তু তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে খুনের নেপথ্য খলনায়কদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার। না হলে অনেক কিছু অজানা থেকে যাবে। খুনিদের কে কোথায় পলাতক আছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে তাও জানা যেতে পারে। তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে, তবে তার আগে অবশ্যই যেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘এই খুনিকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করবো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য, কারণ এই খুনি বলতে পারবে সেদিন জেলখানায় হত্যার নির্দেশ কে দিয়েছিল কারা দিয়েছিলো। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে অনেক কিছু উম্মোচন হবে, যারা বঙ্গবন্ধু ও জেলখানায় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের মহাবিপর্যয়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার আত্মস্বীকৃত খুনি পলাতক আব্দুল মাজেদের গ্রেফতার দেশবাসীর জন্য একটি সুসংবাদ বয়ে এনেছে। আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে, দীর্ঘ কয়েক যুগ পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুনিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আমি মনে করি এই খুনি শুধু জাতির জনককে হত্যা করেননি, এই খুনি জেলখানায় ঢুকে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডেও অংশ নিয়েছিল।’
সূত্র : বাসস