বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এই সংক্রমণ ঠেকাতে তৎপর সংক্রমিত জেলাগুলোর কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে দেশের প্রায় ১৮টির বেশি জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
করোনা আতঙ্কে সর্বপ্রথম গত ১৯ মার্চ লকডাউন করা হয় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা। এরপর থেকে বেড়ে চলেছে সংক্রমণ আর সেই সাথে লকডাউন।
কক্সবাজার ও নরসিংদী জেলাকে আজ বৃহস্পতিবার থেকে লকডাউন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, শিক্ষানগরী রাজশাহী ও শিল্পনগরী খুলনাকে।
এছাড়াও রাজধানী ঢাকায় ৫২টি এলাকা, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, কুমিল্লার বলিঘর গ্রাম, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা, জামালপুর, শরিয়তপুরে ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নসহ নড়িয়া উপজেলা, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা, রংপুরে মিঠাপুকুর উপজেলায় ১৬টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
এদিকে, সিলেট নগরীর লামাবাজার, আম্বরখানা মণিপুরিপাড়া, লালদিঘীরপাড় মণিপুরিপাড়া, শিবগঞ্জ, সুবিদবাজার লন্ডনীরোড, বড়বাজার, করেরপাড়া, ব্রাহ্মণশাসন, নয়াসড়ক মিশন গলি, বাগবাড়ি, সুবিদবাজার কলাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন স্বেচ্ছায় নিজ নিজ এলাকা লকডাউন করেছেন।
বিভিন্ন জেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি সামাল দেয়া হচ্ছে।
সুরক্ষার জন্য গাজীপুর লকডাউন প্রয়োজন বলে মনে করছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
তবে নতুন আক্রান্ত ও সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।