তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান গত রোববার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সয়লুর দেয়া পদত্যাগপত্র প্রত্যাখ্যান করেছেন। করোনাভাইরাস ঠেকাতে দেশটিতে মাত্র দুই ঘন্টার নোটিশে গত শুক্রবার থেকে ৪৮ ঘন্টার জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
এরপরই তুরস্কের জনগণের মাঝে শেষ মুহূর্তে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার হিড়িক পড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে রোববার পদত্যাগ করেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সয়লু।
এক টুইটার বার্তায় তিনি পদত্যাগের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, এই মহামারিতে কারফিউয়ের সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায়নি। এতে ভাইরাস সংক্রমণের সব দায় আমার উপর এসে পড়বে।
সুলেমান সয়লুর বক্তব্যে আরো জানা বলেন, বাণিজ্যিক শহর ইস্তাম্বুলসহ ৩১টি প্রদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
এদিকে প্রেসিডেন্ট এরদোগান তার পদত্যাগপত্র প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটি সঠিক সময় নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার পদে বহাল রাখা হলো।
দেশটির প্রতিদ্বন্দী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) বলেছে, এই মহামারি প্রতিরোধে হঠাৎ লকডাউনের ঘোষণার পদক্ষেপটি কার্যকরী হয়নি। যেখানে ইতোমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে।
সিএইচপির মুখপাত্র ফাইক ওজতার্ক বলেন, সঠিক পরিকল্পনার অভাবে করা এই সিদ্ধান্ত জনগণের স্বাস্থ্যকে আরো ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
তুরস্ক ইতোমধ্যে আঙ্কারার সকল ফ্লাইট বন্ধ করেছে। অভ্যন্তরীণ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বার ও ক্যাফে বন্ধসহ সকল ধরণের গণসংযোগ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু রাখতে এখনো কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছে দেশটির জনগণ।
এদিকে তুরস্কে পরিবহণমন্ত্রী মেহমাত কাহিত ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় ইস্তাম্বুলে বিশাল খাল তৈরি নিয়ে সমালোচিত হওয়ায় গত দুই সপ্তাহ আগেই পদচ্যুত হন।
উল্লেখ্য, তুরস্কে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৯৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ১৯৮ জন।