বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটের মধ্যেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ভয়াবহ দুঃশাসন জারি রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি অভিযোগ করেছেন, করোনাদুর্যোগের মাঝেও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে যাওয়া বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তিনি বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে দুস্থ ও কর্মহীন গরিব মানুষের মাঝে বনানী থানা ছাত্রদলের উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনসহ বনানী থানা ও তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, আজকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের উচিত ছিল সমন্বিতভাবে জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা। কিন্তু জাতীয় উদ্যোগ নেয়া তো দূরে থাক বিএনপি বা এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল যেখানেই সাধ্যমত সাধারণ গরিব মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে যাচ্ছে সেখানেই পুলিশকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। রাজশাহীতে ছাত্রদলের নেতা মালেককে গ্রেফতার করেছে ত্রাণ বিতরণের জন্য।
তিনি বলেন, আসলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই ক্ষমতাসীন সরকার দুঃসময়ের মধ্যেও দুঃশাসন জারি রেখেছে। এটাই কি জনগণের পাশে দাঁড়ানো? তবে বিএনপি শত জুলুম-নির্যাতনের মাঝেও সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
রিজভী বলেন, অথচ মেলান্দহ উপজেলার এক আওয়ামী লীগের নেতার বাড়িতে ৫০০ বস্তা চাল পাওয়া গেছে। আর অনেক নেতার বাড়িতে ত্রাণের আত্মসাতের চাল ধরা পড়ছে প্রতিনিয়ত। কই তাদের বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না? আজকে গোটা দেশে বিপর্যয়ের মুখেও আওয়ামী লীগের লুটপাট থামছে না। তাহলে এসব কী সরকারের সমন্বিত উদ্যোগের নমুনা! এটা কি জাতীয় ঐক্যের লক্ষণ? একদিকে বিরোধী দলের ওপর হামলা মামলা অব্যাহত রেখেছে অন্যদিকে নিজেদের লোকদের চুরি আর লুটপাট করতে সহযোগিতা করছে সরকার।
তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তারদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি সরকার। ডাক্তারদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পিপিই দিতে পারছে না। কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের খাবার দেয়া হচ্ছে না। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে না। ভালো হোটেলগুলোতে থাকার ব্যবস্থা করতে আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম সেটিও করছে না সরকার। আজকে অনেক বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়া ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলছে। কত কষ্টের মাঝেও তারা চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে। সেবা করতে গিয়ে ডা: মঈন উদ্দিন তিনি তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন।