1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. editor@amadergouripur.com : Al Imran :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
গৌরীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, ২৪ ঘন্টায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম ময়মনসিংহ জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা।। আহ্বায়ক ফরহাদ, সদস্য সচিব রবিন শেখ হাসিনার শেষ ৫ বছরে ১৬ হাজারের বেশি খুন গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-আমিন, সম্পাদক বিপ্লব ময়মনসিংহে ট্রাক সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালক নিহত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শিমুর বিরুদ্ধে মামলা গৌরীপুরে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি সি ইউ নট ফর মাইন্ড’ খ্যাত সেই শ্যামল গ্রেফতার জুলাই বিপ্লবের কন্যাদের গল্প শুনলেন ড. ইউনূস ময়মনসিংহে ৮ দিন বন্ধের পর বিভিন্ন রুটে চালু হলো ট্রেন

জনগণের জীবন নিয়ে জুয়া খেলবেন না : রিজভী

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২০
  • ৩৪৭ Time View

 

বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে করোনাভাইরাসের কোনো চিকিৎসা হচ্ছে না এবং চারিদিকে মানুষের কেবলই আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শনিবার সকালে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, করোনাভাইরাস ইস্যুতে জনগণের সাথে লুকোচুরি করার মানে হচ্ছে, মানুষের জীবন নিয়ে জুয়া খেলা। সুতরাং জনগণের জীবন নিয়ে জুয়া খেলবেন না।

তিনি বলেন, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী চিহ্নিত হয়। তারপর সরকার যথেষ্ট সময় পেলেও রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। করোনার রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসিইউতে ভেন্টিলেটর মেশিন ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের সুবিধাসহ পৃথক হাসপাতাল স্থাপন করতে পারেনি। এখন চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ না করায় বাড়ছে রোগীদের দুর্ভোগ ও মৃত্যুহার।

রিজভী বলেন, সরকার ১৬ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সারাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছে। ‘সারাদেশ করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ’ এটি বুঝতে সরকারের কেন এতো দেরি হলো এটি বোধগম্য নয়। কিন্তু মানুষ বাঁচাতে হলে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারিতে বিশ্ববাসী আজ দিশেহারা। বাংলাদেশে বিরাজ করছে ভয়াল পরিস্থিতি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অদূরদর্শিতা ও হেয়ালীপনার কারণে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। বিশ্বের ভয়াবহ সংক্রমিত দেশগুলোতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু দ্বিগুন হয়েছে ১৫-২০ দিনে। আর বাংলাদেশে তা হচ্ছে মাত্র চার দিনে। করোনা প্রতিরোধে মেডিক্যাল সরঞ্জামের বিষয়ে কেউ যেন কথা বলতে না পারে সেজন্য গতকাল সরকার কঠোর পরিপত্র জারি করেছে। সরকার তাদের ব্যর্থতা ধামাচাপা দেয়ার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে দমনের নীতিকেই কার্যকর করছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা এখন পর্যন্ত কেউ অনুধাবন করতে পারছে না। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে জনগণ জানতে পারছে না আসলে হচ্ছেটা কি? অথচ দুনিয়াজুড়ে খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদরা বলছেন-এই সঙ্কটে আলাপ-আলোচনার পথ প্রশস্ত রাখার জন্য। করোনার কারণে যে ভয়ঙ্কর খাদ্য সঙ্কটের প্রকৃত তথ্য জেনে তা প্রতিকারের জন্য মুক্ত আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। অথচ সরকার নিয়ন্ত্রণ আর হুমকির মুখে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে স্বেচ্ছাচারিতা অব্যাহত রেখেছে। সরকারের ভুল বা ব্যর্থতা ধরিয়ে দেয়া চক্রান্তের অংশ নয়, বরং তা গণতন্ত্রের অংশ।

রিজভী বলেন, ২৪ মার্চ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেয়া বক্তব্যে কয়েকটি প্রস্তাবনা ছিল : অবিলম্বে দেশে ‘চিকিৎসা জরুরী অবস্থা অর্থাৎ মেডিক্যাল ইমার্জেন্সী’ ঘোষণা, ডাক্তারসহ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের কাজকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণা এবং বিশেষ বোনাস প্রদান, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত সংখ্যক সেফটি মেডিক্যাল কিট্স অর্থাৎ পিপিই সরবরাহ করে দেশের প্রতিটি উপজেলায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে আর্থিক সহায়তার উদ্দেশে দ্রুততার সাথে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন। যতই দিন যাচ্ছে, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেয়া প্রতিটি প্রস্তাবনার গুরুত্ব ও বাস্তবতা ততই প্রতিভাত হয়ে উঠছে। বিএনপির কোন প্রস্তাবনাটি অযৌক্তিক কিংবা অন্যায্য?

তিনি বলেন, বিএনপি শুধু প্রস্তাবনা দিয়েই বসে থাকেনি, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সারাদেশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থক ছাড়াও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এবং ড্যাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে আমাদের দলের নেতাকর্মী সমর্থকরা দুস্থ ও গরীব মানুষদের খাদ্য সহায়তা, মেডিকেলের ডাক্তার ও নার্সদের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু কই মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন নেতাদের তো জনগণের পাশে দাঁড়াতে দেখছি না। কই স্বাস্থমন্ত্রীকে তো কোনো হাসপাতাল পরিদর্শনে যেতে দেখিনি। উল্টো দেখা যাচ্ছে, সরকারী ত্রাণ চুরির মহৌৎসব। ক্ষমতাসীন নেতাকর্মীদের বাড়ীতে চালের খনির পর এখন তেলের খনির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে।

রিজভী বলে, ত্রাণ নিয়ে এবার আরো ভয়ঙ্কর দলীয়করণ ও লুটপাটের মহামারী শুরু হতে যাচ্ছে। সারাদেশে ত্রাণ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা দিতে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ত্রাণ কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগ ত্রাণের তালিকা করবে। এটি স্থানীয় প্রশাসনকে দেবে। স্থানীয় প্রশাসন তালিকাটি যাচাই-বাছাই করবে।’ তার মানে এই তালিকায় কেবল আওয়ামী লীগ করা লোকজনের ঠাঁই হবে। ত্রাণ পাবে তারাই। যে সরষের মধ্যে ভুত সেখানে তাদেরকেই যদি দায়িত্ব দেয়া হয়, তাহলে কাদের পক্ষ নিয়েছে তা স্পষ্ট বোঝা যায়। আমরা এ বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও আশঙ্কা বোধ করছি যে, ত্রাণ কার্যক্রমে এই দলীয় কমিটির কারণে চাল চুরি আরো বৃদ্ধি পাবে। এটা হলে দুর্ভিক্ষ আরো তরান্বিত হবে বলে আমরা মনে করি। অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে দিয়ে ত্রাণের তালিকা করার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Designed and developed by Mymensinghitpark