শনিবারের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে আরো ৩০৬ জন। মারা গেছে নতুন করে ৬৬ জন। সারাদেশে আক্রান্তের সর্বমোট সংখ্যা এখন দুই হাজার ১৪৪ জন। আর কোভিড-১৯ আক্রান্ত এই সকল মানুষ ছড়িয়ে আছে দেশের প্রায় ৫৩টি জেলায়। এমনকি সংক্রমণ ধরা পড়েছে পাহাড়ি অঞ্চল বান্দরবানেও।
চট্টগ্রামে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩৭ জন, কিশোরগঞ্জে ৩৩ জন, মুন্সিগঞ্জে ২৭ জন, মাদারীপুরে ২৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ১৮ জন, গোপালগঞ্জে ১৭ জন ও কুমিল্লায় ১৫ জন।
গাইবান্ধায় শনাক্ত হয়েছেন ১২ জন, ব্রাক্ষণবাড়িয়া ও টাঙ্গাইলে নয়জন করে, চাঁদপুর ও দিনাজপুরে আটজন করে আর রাজবাড়ীতে শনাক্ত হয়েছেন সাতজন।
নীলফামারী ও শরীয়তপুরে ছয়জন আর মানিকগঞ্জে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচজন। আরো কয়েকটি জেলায় কয়েকজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার পর্যন্ত যেসব জেলায় কোন রোগী শনাক্ত হয়নি, সেগুলো হলো: পঞ্চগড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, ভোলা, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি।
বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক, মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, তারা বিভিন্ন জেলায় যে রোগীদের শনাক্ত করেছেন, তাদের অনেকেই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে সেসব স্থানে গেছেন বলে তারা দেখতে পেয়েছেন।
আইইডিসিআর-এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা শুক্রবার জানান, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩২ শতাংশ নারী।
মোট শনাক্ত হওয়া রোগীর ৪৬ শতাংশই ঢাকার বাসিন্দা। এছাড়া ২০ শতাংশ নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা।
ঢাকা মহানগরীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মিরপুর এলাকা- প্রায় ১১ শতাংশ। এছাড়া মোহাম্মদপুর, ওয়ারি এবং যাত্রাবাড়িতে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪ শতাংশ করে। উত্তরা এবং ধানমন্ডিতে ৩ শতাংশ করে।
অন্যদিকে, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, এবং মুন্সিগঞ্জে আক্রান্তের সংখ্যাও আগের চাইতে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মিসেস ফ্লোরা।
এ পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ২১ শতাংশের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। ১৯ শতাংশের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে এবং ১৫ শতাংশের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
মিসেস ফ্লোরা বলেছেন যে, যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিয়েছেন। ৩২ শতাংশ চিকিৎসা নিয়েছেন হাসপাতালে। বিবিসি।