দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন পর্যায়ক্রমে বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে আক্রান্তের হার এখন ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইডিসিআর) দেয়া রোববারের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে আরো ৩১২ জন। এই সময়ের মধ্যে করোনায় মারা গেছে নতুন করে ৭ জন। মোট মৃত্যু ৯১ জন। নতুন ৩১২ জন রোগীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সর্বমোট মানুষের সংখ্যা এখন দুই হাজার ৪৫৬ জন।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত এই সকল মানুষ ছড়িয়ে আছে দেশের প্রায় ৫৪টি জেলায়। নতুন সংক্রমিত জেলাটি হলো পঞ্চগড়। আটটি বিভাগের মধ্যে করোনা আক্রান্ত মানুষের তালিকায় শীর্ষে এখনো ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ। ঢাকা বিভাগে সর্বমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৬০৬ জন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৮৪৩, নারায়ণগঞ্জে ৩০৯, গাজীপুরে ১৬১, কিশোরগঞ্জে ৫৪, মাদারীপুরে ২৫, মানিকগঞ্জে ৬, মুন্সীগঞ্জে ৩৩, নরসিংদীতে ৯৩, রাজবাড়ীতে ৭, ফরিদপুরে ৫, টাঙ্গাইলে ৯, শরীয়তপুরে ৭, গোপালগঞ্জে ২১, ঢাকার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ৩৪ জন করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলায় ৩৮, কক্সবাজারে ১, কুমিল্লায় ১৭, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০, লক্ষ্মীপুরে ১৮, বান্দরবান ১, নোয়াখালীতে ৩, ফেনী ১, চাঁদপুরে ৮ জন সহ মোট ৯৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। রংপুরের গাইবান্ধায় ১২, নীলফামারীতে ৯, লালমনিরহাটে ২, কুড়িগ্রামে ২, দিনাজপুরে ৯, ঠাকুরগাঁওয়ে ৫, রংপুর জেলায় ৩, পঞ্চগড়ে ১ জন সহ মোট ৪৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুরে ১৭, নেত্রকোনায় ১২, শেরপুরে ১১, ময়মনসিংহ জেলায় ১৯ জন সহ মোট ৫৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আর বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলায় ১৮, বরগুনায় ৯, পটুয়াখালীতে ২, পিরোজপুরে ৪, ঝালকাঠিতে ৩ জন সহ মোট ৩৭ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। সিলেটের মৌলভিবাজারে ২, সুনামগঞ্জে ১, হবিগঞ্জে ১, সিলেট জেলায় ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে সংক্রমণ বাড়ছে রাজশাহী বিভাগেও। রাজশাহী জেলায় ৪, জয়পুরহাটে ২, বগুড়ায় ১ ও পাবনায় ১ জন সহ মোট ৮ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গায়, বাগেরহাটে একজন ও নড়াইলে দুইজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে।
দেশে পরীক্ষাকৃত নমুনার সংখ্যা মাত্র ২৩ হাজার ৯৪১টি। যা সামান্য বেড়ে হয়েছে ১২ দশমিক ২৬ শতাংশ। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর মোট সুস্থ হয়েছেন ৭৫ জন।