করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আবাসনের ব্যবস্থাসহ চিকিৎসা বিষয়ে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছে সরকার। রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব (পার-১) শামীমা নাসরীন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দেশের সব জেলা প্রশাসককে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়,‘…দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে এবং হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সকলেই নিরলসভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য-পৃথক হাসপাতাল/কেন্দ্র; চিকিৎসক নার্স এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পিপিই ও পরিবহণের জন্য যানবাহন; ঔষধ, ভেন্টিলেটর; লাশ পরিবহনের জন্য ব্যাগ প্রভৃতি প্রস্তুত রাখা জরুরি। এ বিষয়ে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সাথে আলোচনাক্রমে সিভিল সার্জন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন।’
ডিসিদের লেখা চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘..স্বাস্থ্য সুরক্ষা তথা সঙ্গনিরোধ নিশ্চিতকরণের অনিবার্য প্রয়োজনে পারিবারিক সদস্যদের সাথে নিজ বাসস্থানে অবস্থান করে চিকিৎসার কাজে নিয়োজিত থাকা সমীচিন হবে না বিধায় তাদের জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভিন্ন কোনো স্থানে অবস্থানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে তাদের আবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপযোগী ভবন/আবাসিক কেন্দ্র/হোটেল ইত্যাদি রিকুইজিশন করা আবশ্যক হতে পারে। বর্ণিত অবস্থায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৃথক হাসপাতাল/ভবন/কেন্দ্র, চিকিৎসক,নার্স এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের পরিবহনের জন্য যানবাহন, রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎক, নার্স ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গেও জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পিপিই, ঔষধ, ভেন্টিলেটর, লাশ পরিবহনের জন্য ব্যাগ প্রভৃতি প্রস্তুত রাখা এবং করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আবাসনের জন্য প্রয়োজন অনুসারে ভবন/আবাসিক কেন্দ্র/হোটেল ইতদ্যাদি রিকুইজিশনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
রিকুইজিশনের ক্ষেত্রে কী কী প্রযোজ্য সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে চিঠিতে। এতে বলা হয়েছে, ‘জেলা প্রশাসকরা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গঠিত কমিটির সাথে আলোচনাক্রমে প্রয়োজন ও উপযোগীতার বিবেচনায় হোটেল/ভবনের সংখ্যা নির্ধারণ এবং করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৃথক হাসপাতাল ভবন/কেন্দ্র, পরিবহনের জন্য যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন; রিকুইজিশনকৃত হোটেল/ভবনের রিকুইজিশনকালীন ইউটিলিটি বিলসমূহ সরকার কর্তৃক পরিশোধ করা হবে; সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে খাওয়া বাবদ খরচ সরকার বহন করবে; হোটেল/ভবন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সহায়ক জনবল ও অন্যান্য সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করবে; স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত হারে ইউটিলিটি, খাবার বিল পরিশোধ করা হবে এবং রিকুইজিশন সংক্রান্ত তথ্যাদি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব (পার) তপন কুমার বিশ্বাসের কাছে প্রেরণ করবেন।’