চিকিৎসকদের সুরক্ষার ব্যাপারে নানা উদ্যোগের কথা শোনা গেলেও বাস্তবায়ন কতটুকু হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধ্যান পাওয়ার পর থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৪৩ দিনে দেশে ১২৮ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন একজন। একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনজন চিকিৎসক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫৩ জন। বাকিরা বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
রোববার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের (বিডিএফ) প্রধান সমন্বয়ক ডা. নিরূপম দাশ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ৬০ জনের অধিক চিকিৎসক। রাজধানী ঢাকার মধ্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজে ১২ জন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আটজন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঁচজন, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে একজন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে ১২ জন, ময়মনসিংহে সাতজন, গাজীপুরের কালিগঞ্জে ছয়জন আক্রান্ত হয়েছে। বাকিরা দেশের অন্যান্য জেলায় আক্রান্ত। আক্রান্তদের সংস্পর্শ আসায় প্রায় ৩০০ স্বাস্থ্যকর্মী কোয়ারেন্টিন আছেন।
নিরূপম দাশ বলেন, যে হারে চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। এতে স্বাস্থ্য খাত ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি অ্যান্ড রাইটস সংগঠনের মহাসচিব সাব্বির মাহমুদ তিহান বলেন, দেশের ১৫ টি সরকারি হাসপাতাল ও ১০ টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ৭১ জন নার্স করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন এমন ৩০০ নার্স বর্তমানে কোয়ারান্টিনে আছেন।
তিনি বলেন, নার্সদের আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ হলো পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যাবস্থার ঘাটতি ও অনেক রোগী তথ্য গোপন করে সেবা নিতে আসা।