প্রালঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্ব এখন মূলত লকডাউন; আরো স্পষ্ট করে বললে বাধ্যতামূলকভাবে ঘরবন্দী। টানা প্রায় চারমাস ধরে এই ভাইরাস সারাবিশ্বকে তটস্থ রাখলেও এখনো এর প্রতিষেধক বা ওষুধ আবিষ্কার করতে পারেনি কোনো দেশই। আর এর মধ্যেই জল্পনা সুষ্টি হয়েছে যে, করোনাভাইরাস নাকি ল্যাব বা গবেষণাগার থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
তবে সম্প্রতি তৈরি হওয়া এই জল্পনা-কল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনাভাইরাস পরীক্ষাগারে বা মানবসৃষ্ট কোনো ভাইরাস নয়। ডাব্লিউএইচও’র মতে, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত সকল প্রমাণ থেকে এমনই জানা যায়। যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল মঙ্গলবার এই সংবাদ প্রকাশ করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পশ্চিম এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক তাকাশি কাসাই বলেছেন, সঠিক উৎস শনাক্ত করা সম্ভব না হলেও সম্ভবত রোগটি প্রাণী থেকে এসেছে। সংস্থাটি আগেও বলেছে, করোনাভাইরাসের জিনগত কাঠামো বাদুড়ের মধ্যে চিহ্নিত ভাইরাসের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এ থেকে বোঝা যায় মানুষের মধ্যে আসার আগে বাদুড়ের শরীরে এই রোগের উদ্ভব হয়েছিল।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, চীনের ল্যাব থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে রাশিয়ার সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভেরোনিকা স্কাভোর্টোসোভা জানিয়েছেন, কোনো ল্যাব থেকে করোনাভাইরাস সৃষ্টি হওয়ার বা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক তাকেশি কাসাই আরো বলেন, বিশ্ব নেতারা করোনাভাইরাসের উৎস সম্পর্কে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। এখনো ধারণা করা হচ্ছে, করোনাভাইরাস প্রথমে চীনের উহানের হুয়ান সীফুড মার্কেটে প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানেই প্রাথমিক ঘটনা শনাক্ত করা হয়েছিল।
তবে, চীন এখনো পর্যন্ত প্রথম আক্রান্ত রোগী অর্থাৎ পেসেন্ট জিরো শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রথম রোগী কে বা কীভাবে সংক্রমিত হয়েছে তা না জেনে ভাইরাসের প্রকৃত উৎস বের করা অসম্ভব হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সূত্র : ডেইলি মেইল