করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নগদ সহায়তাসহ ১২ হাজার কোটি টাকার ঋণ সহায়তা চেয়েছে ট্রাভেল ও ট্যুর এজেন্সিগুলোর মালিকরা। শিল্প খাতটি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে এবং প্রায় ৪ লাখ লোকের চাকুরী হারানোর আশংকা রয়েছে দাবি করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে সম্প্রতি লিখিতভাবে এই সহায়তা চেয়েছে এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্সস অব বাংলাদেশ (আটাব)।
সংগঠনটির সভাপতি মনছুর আহমেদ কামাল চিঠিতে বলেন, করোনার প্রভাবে জুন-২০২০ পর্যন্ত ট্রাভেল এজেন্সি ও পর্যটন শিল্প খাতে সম্মিলিত ভাবে প্রাক্কলিত ব্যবসায়িক ক্ষতির পরিমান হবে ১২ হাজার কোটি টাকা। শুধুমাত্র ট্রভেল এজেন্সি খাতে ক্ষতিআনুমানিক ৫হাজার কোটি টাকা।
সাড়ে তিন হাজার এজেন্সি মালিকদের সংগঠনটির শীর্ষ নেতা বলেন, বিশ্বব্যাপী এয়ারলাইন্সসমূহ তাদের ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধের ভয়ঙ্কর বিরূপ প্রভাব পড়েছে ট্রাভেল এজেন্সি ও পর্যটন শিল্প খাতের উপর। বলতে গেলে এ শিল্প খাত এক প্রকার ধ্বংসের সম্মুখীন।
আটাবের চিঠিতে বলা হয়, এজেন্সিগুলো আন্তর্জাতিক পরিবহন সংস্থার (আইএটিএ) পাক্ষিকভাবে পরিশোধ্য পাওনা পরিশোধ করতে না পরায় খেলাপী হয়ে গেলে এজেন্সিগুলো তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে; যার ফলে লাখ লাখ মানুষ মুহুর্তে কর্মহীন হয়ে পড়বে।
পরিচালনা-সার্ভিস চার্জ প্রদান, স্টাফদের বেতন-ভাতাদি প্রদানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানসমূহ চরম সংকটময় অবস্থা অতিবাহিত করছে। প্রতিষ্ঠানভেদে মাসে ৩ লক্ষ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যবসায়িক ও আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৭২ হাজার ৭৫০কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজে ট্রাভেল এজেন্সি ও পর্যটন শিল্পকে অন্তভূর্ভুক্ত করা জরুরি দাবি করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি প্রদানসহ অফিস পরিচালনা চলমান রাখাতে নগদ প্রনোদনা প্রদান এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য প্যাকেজ-১ এর আওতাভুক্ত করে ১২ হাজার কোটি টাকা ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ প্রদানের প্রস্তাব করা হয় অর্থমন্ত্রীর কাছে।
আটাব সভাপতি বলেন, এই সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে দেশের লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন ও বিপুল পরিমান রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিদেশ যাত্রীদের ট্রাভেল ট্যাক্সের বিপুল পরিমাণ টাকা বিনা মাসুলে সরকারকে আদায় করে দিচ্ছে।