বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাস। মারণ ভাইরাসের বলির তালিকায় একের পর এক নাম তুলেছেন সাধারণ মানুষ। বিশ্বে দু’লাখ আঠারো হাজার মানুষ মারা গেছে করোনায়। একতিরিশ লাখ আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রামক করোনার পরবর্তী টার্গেট ব্রাজিল। খারাপ অবস্থা রাশিয়ারও। সেখানে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে নোভেল করোনা। গত দু’দিনে রাশিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছুঁইছুঁই।
শেষ পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাশিয়ায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯ হাজার ৩৯৯। মৃত ৯৭২। তবে শীর্ষে এখনো আমেরিকা। মার্কিন মুলুকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১০ লাখ পেরিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০লক্ষ ৩৬ হাজার ৪১৭ জন আক্রান্ত হয়েছে নোভেল করোনা ভাইরাসে। মৃত্যু হয়েছে ৫৯ হাজার ২৮৪ জনের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিউ ইয়র্ক শহরের। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখেরও বেশি। নিউ ইয়র্কে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৩ লাখ ১ হাজার ৪৫০। মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার ১৪৪ জনের। সাধারণ বাসিন্দাদের আশঙ্কা, কোভিড টেস্টের লাইন এদেশে এতটা বড় যে, টেস্টের লাইনেই অধিকাংশের সংক্রমণ হতে পারে।
আমেরিকার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে ইউরোপে। ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি এই চারটি দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনার প্রভাব। ব্রিটেনেরও অবস্থা একই। স্পেনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এখানে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা মোট ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮৯৯। মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ২৭৫ জনের। স্পেনের তুলনায় ইতালিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কম, তবে মৃতের সংখ্যা বেশি। ইটালিতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা মোট ২ লক্ষ ১ হাজার ৫০৫। মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৩৫৯ জনের। ফ্রান্সে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৯১১ এবং মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ৬৬০। ব্রিটেনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ১৪৫ জন। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৬৭৮ জনের। জার্মানিতে করোনা আক্রান্তের তুলনায় মৃতের সংখ্যা অনেক কম। এখানে কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৩১৪ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৯ জন।