1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. editor@amadergouripur.com : Al Imran :
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ময়মনসিংহে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশী অস্ত্রসহ মাদক উদ্ধার গৌরীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, ২৪ ঘন্টায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম ময়মনসিংহ জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা।। আহ্বায়ক ফরহাদ, সদস্য সচিব রবিন শেখ হাসিনার শেষ ৫ বছরে ১৬ হাজারের বেশি খুন গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-আমিন, সম্পাদক বিপ্লব ময়মনসিংহে ট্রাক সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালক নিহত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শিমুর বিরুদ্ধে মামলা গৌরীপুরে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি সি ইউ নট ফর মাইন্ড’ খ্যাত সেই শ্যামল গ্রেফতার জুলাই বিপ্লবের কন্যাদের গল্প শুনলেন ড. ইউনূস

পুলিশ সদস্যদের করোনায় আক্রান্তের হার দিন দিন বাড়ছে

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৩ মে, ২০২০
  • ১২৫ Time View

বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার পর প্রথমদিকে মানুষকে ঘরে রাখা বা সামাজিক দূরত্ব মানানোর বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যতটা তৎপর ছিলেন, সেই তুলনায় গত কিছুদিন ধরে তাদের তৎপরতা কম বলে মনে করছে মানুষ।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬ মার্চ বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়, আর এই ছুটির মধ্যে মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে রাস্তায় অবস্থান নেয় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যরা।

সাধারণ ছুটির মধ্যে মানুষজন যেন অপ্রয়োজনে ঘোরাফেরা না করে, কোথাও জমায়েত তৈরি না করে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে তা নিশ্চিত করতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় চেকপোস্ট পরিচালনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় টহল দেয়া এবং জনসচেতনতা তৈরির কাজ করে আসছিলেন।

কিন্তু প্রথমদিকে পুলিশ যতটা উৎসাহ নিয়ে কাজ করছিল, গত কয়েক সপ্তাহে সেই উদ্দীপনায় ভাটা পড়েছে বলে মন্তব্য করছে সাধারণ মানুষ।

মানুষ বলছে পুলিশের মধ্যে এক ধরনের গা-ছাড়া ভাব চলে এসেছে এবং তাদের নজরদারির কার্যক্রমও যথেষ্ট শিথিল হয়ে পড়েছে।

অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া বা রাস্তাঘাটে ঘোরাঘুরি থামাতে পুলিশ টহল দেয়া বা চেকপোস্ট পরিচালনা করার ব্যাপারে যতটা কঠোর ছিল, বর্তমানে সেটিতে অনেকটাই ভাটা পড়েছে বলে মনে করছে মানুষ।

আর পুলিশের তৎপরতা কিছুটা শিথিল হওয়ার কারণেই গত কয়েকদিনে মানুষের মধ্যেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা মানার ক্ষেত্রে ঢিলেঢালা ভাব তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

কয়েকজন বলছেন, শুরুর দিকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ এবং কড়া অবস্থানের কারণে তারা অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে সাহস পেতেন না, কিন্তু এখন পুলিশের নজরদারি শিথিল হয়ে যাওয়ায় তারা মাঝেমধ্যে বিনা প্রয়োজনেও ঘর থেক বের হচ্ছেন।

তবে কেউ কেউ আবার মনে করছেন পুলিশের অনুপস্থিতি নয়, গত সপ্তাহে বেশকিছু কল কারখানা খুলে দেয়ায় এবং রমজান মাসে ইফতারের সময় কিছু খাবারের দোকানকে কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি দেয়ার ফলে মানুষের আচরণে শিথিলতা এসেছে।

আর একদল মনে করেন, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্তের হার দিন দিন বাড়ার কারণে তারা শুরুর দিকে যেরকম সক্রিয় ভূমিকা পালন করছিলেন, বর্তমানে ততটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন না।

বাংলাদেশ পুলিশের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র থেকে জানা যায়, ২ মে পর্যন্ত পুলিশের প্রায় সাড়ে সাত শ’ সদস্যের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে মারা গেছেন পাঁচজন।

এছাড়া কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে রয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের আরো প্রায় দেড় হাজার সদস্য।

কীভাবে এত পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হচ্ছেন?
বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি মিডিয়া সোহেল রানা মন্তব্য করেন, দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অনেকসময়ই পুলিশ নিজেদের সুরক্ষার চেয়ে জনগণের সুরক্ষার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়ার কারণে পুলিশের এত বেশি সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন।

সোহেল রানা বলেন, ‘পুলিশের ডিউটির ধরণটাই এরকম যে মানুষের সংস্পর্শে না এসে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হয় না।’

সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পর থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে নিজেদের তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পুলিশ ঝুঁকির মুখে পড়তে বাধ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সোহেল রানা।

‘পুলিশ যখন কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশন বাস্তবায়ন করতে বাড়ি বাড়ি গিয়েছে, অনেক জায়গায় মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জরুরি ত্রাণ ও খাবার পৌঁছে দিয়েছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রশাসনের সাথে বাজার নিয়ন্ত্রণ অভিযানে গিয়েছে – তখন মানুষের সংস্পর্শে আসতে বাধ্য হয়েছে তারা।’

দেশের কোথাও কোথাও সন্দেহভাজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে পরিত্যাগ করা এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে সোহেল রানা বলেন, ‘কিছু জায়গায় করোনাভাইরাস রোগীকে পরিত্যাগ করার ঘটনা ঘটেছে, আবার কোথাও দেখা গেছে যে রোগী নিজেই পালিয়েছে। আবার এমন ঘটনাও ঘটেছে যে লাশ সৎকারে কেউ এগিয়ে আসেনি। এরকম প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাহায্য করেছে পুলিশই।’

তিনি জানান, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকলেও পুলিশ সদস্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা।

পুলিশ সদস্যদের শারীরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি উন্নয়নের বিষয়টি নিয়েও তারা কাজ করছেন বলে জানান তিনি।

সূত্র : বিবিসি

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Designed and developed by Mymensinghitpark