ঢাকার ধামরাইয়ে পারিবারিক কলহে স্ত্রী তার স্বামীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সহযোগিতা করে মাদকাসক্ত ছেলে রবিন (১৮)। নিহত স্বামী মতিয়ার রহমান (৪৮) বালিথা গ্রামের নান্দু বেপারীর পালক ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা গ্রামে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী কাজলী বেগম (৩৬) ও ছেলে রবিনকে আটক করে পুলিশ।
জানা গেছে, তিন সন্তানের জনক-জননী মতিয়ার রহমান ও তার স্ত্রী কাজলী বেগম (৩৬) প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েন। এ সময় স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে মতিয়ারের সঙ্গে স্ত্রী কাজুলী বেগমের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে কাজলী তার স্বামীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এতে সহযোগিতা করে তাদের ছেলে মাদকাসক্ত রবিন।
রোবাবর স্ত্রী কাজলী বেগম প্রচার করে ঘুমের মধ্যে তার স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেছে। এতে মতিয়ারের গলায় কালো চিহ্ন দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। এ সময় তাদের আটক করে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এ সময় মা ও ছেলেকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মা ও ছেলে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে বলে জানান ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) মাসুদুর রহমান। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কাজলী বেগমের সঙ্গে এলাকায় একাধিক পুরুষের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল।