প্রাণঘাতী করোনার প্রকোপে এই মুহূর্তে দিশেহারা বিশ্বের সব দেশের মানুষ। একদিকে মৃত্যুভয়, অন্যদিকে দীর্ঘ লকডাউনে কর্মহীনতা আর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছে মানুষ। এমনিতেই ভয়াবহ কঠিন হয়ে উঠেছে বেঁচে থাকা। অথচ এই পরিস্থিতির মধ্যেও নাইজেরিয়ার তিলাবেরি অঞ্চলে সাধারণ গ্রামবাসীর ওপর একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে চরমপন্থিরা।
তিলাবেরির বেশ কয়েকটি গ্রামে বন্দুকধারী চরমপন্থিদের সর্বশেষ হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে নাইজেরিয়া কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১১ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
তিলাবেরির গভর্নর তিদজানি ইব্রাহিম কাতিয়েলার বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, শনিবার (৯ মে) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে একদল বন্দুকধারী মোটরসাইকেলে করে গাদাবো ও কোইরা তেগুইয়োসহ বেশকিছু গ্রামে হামলা চালায়। সে সময় তারা গ্রামবাসীদের ভেগে যেতে বলে ও দোকানপাট, গবাদি পশু লুট করে।
এদিকে কারা এ হামলা চালিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আইএস ও আল কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইসলামি চরম্পন্থিরা এ অঞ্চলে সক্রিয়। গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত তাদের চালানো বিভিন্ন হামলায় ১৭০ সেনা নিহত হয়েছে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও নাইজেরিয়াসহ আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে করোনা মহামারির সুযোগে ইসলামি চরমপন্থিদের আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠার ব্যাপারে সতর্কতা জানিয়েছেন।
চরমপন্থীদের দাপটে ২০১৭ সাল থেকেই মালি, বুরকিনা ফাসো ও বেনিন সীমান্তবর্তী তিলাবেরি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করে রেখেছে নাইজেরিয়া সরকার।