নিজের বোলারদের ওপর বিরাট কোহলির যে কত আস্থা, সেটা আজকে বুঝিয়ে দিলেন। আজকে জিতলেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে যাবে ভারত। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কোহলি। খেলা হচ্ছে চণ্ডীগড়ের মতো ঠান্ডা জায়গায়, দিবা-রাত্রির ম্যাচে পরের ইনিংসে শিশির যেখানে বেশ ভালো প্রভাব ফেলে। বোলারদের বল গ্রিপ করতে সমস্যা হয়। কিন্তু তাও কোহলি সিদ্ধান্ত নিলেন অস্ট্রেলিয়াকে রান পাহাড়ে চাপা দিয়ে পরে বল করার।
সে লক্ষ্যে কোহলি বেশ সফল বলা যায়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩৫৮ রান।
ভারতের এই সংগ্রহের পেছনে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানের। প্রথম থেকেই অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন তারা। একসময় মনে হচ্ছিল দুজনই সেঞ্চুরি করে ফেলবেন। কিন্তু ঝাই রিচার্ডসন সেটা হতে দেননি। অস্ট্রেলিয়ার এই পেসারের বলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের কাছে ক্যাচ দিয়েছেন রোহিত। ৯২ বলে ৭টা চার ও ২টি ছক্কায় ৯৫ রান করে ফিরতে হয় তাঁকে। তবে রোহিত চলে গেলেও ঝড় থামাননি ধাওয়ান। প্যাট কামিন্সের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১১৫ বলে ১৪৩ রানের একটা ঝকঝকে ইনিংস খেলেছেন।
এক বছর ধরে ভারতের ব্যাটিং অর্ডারের ৪ নম্বর জায়গাটাকে কেউ নিজের করে নিতে পারেননি। আম্বাতি রাইড়ুকে বারবার সুযোগ দেওয়ার পরও দুর্দান্ত কিছু করে দেখাতে পারছেন না। ফলে এবার বিশ্বকাপে ভারতের ৪ নম্বরে কে ব্যাট করবেন, এখনো নিশ্চিত নয়। ঘুরেফিরে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে রাইড়ু, লোকেশ রাহুল, দীনেশ কার্তিক, ঋষভ পন্ত, বিজয় শংকরদের। ভারতের কোচ রবি শাস্ত্রী কিছুদিন আগে চেয়েছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলিই ৪ নম্বরে নামুন, তিন নম্বরে না নেমে। যদিও সৌরভ গাঙ্গুলীসহ বেশ কয়েকজন সাবেক তারকা চাচ্ছেন কোহলির অবস্থান নিয়ে যেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করা হয়।
আজ কোহলি নেমেছেন চারে, আর তিন নম্বরে সুযোগ দেওয়া হয়েছে দলে ফেরা লোকেশ রাহুলকে। যদিও জায়গার এই অদল-বদলে লাভবান হননি কেউই। রিচার্ডসনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন কোহলি, মাত্র ৭ রান করে। ওদিকে ৩১ বল খেলে ২৬ রান করে ফিরেছেন রাহুল। পরে বিজয় শংকর ও ঋষভ পন্তের ছোট ছোট দুটি ঝড়ে ৩৫০ পার হয় ভারত। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার কামিন্স। ১০ ওভার বল করে ৭০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন। ৩ উইকেট নিয়েছেন ঝাই রিচার্ডসন, বাকি একটা উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা।
৯ উইকেটের ৮টিই ভারত হারিয়েছে ৩৭ ওভারের পরে। শেষের দিকে নিয়মিত উইকেট তুলে নিলেও ভারতকে রানের পাহাড়ে চড়ে বসতে বাধা দিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। এখন সিরিজে টিকে থাকতে কঠিন লড়াইয়ে নামতে হবে।