শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরিতে যাত্রী পারাপার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এ নৌরুটে কোনো নৌযান চলাচল করছে না। কিন্ত থেকে নেই যাত্রী পারাপার। চোরাই পথে যাত্রী পারাপার করছে এক শ্রেণির অসাধু ট্রলার ও সিবোট চালক। তবে শিমুলিয়া ঘাট থেকে নয়। পুলিশের নজরদারি এড়াতে তারা মাওয়া পুরাতন ফেরি ঘাট থেকে যাত্রী পারাপর করছে। তবে নৌ পুলিশের বিশেষ তৎপরতায় তেমনটা সুবিধা করতে পারছে না এসকল অবৈধ নৌযান ব্যবসায়ীরা। নৌপুলিশের অভিযান চারিয়ে ৪৮টি ট্রলার ও ২টি সিবোট জব্দ করেছে। এর মধ্যে ১৯টি ট্রলার পদ্মায় ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আইসি পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, গত মঙ্গলবার হতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরিসহ সকল প্রকার নৌযান দিয়ে যাত্রী পারপার বন্ধ করেছে প্রশাসন। পুলিশের উর্ধতণ কর্মকর্তাদের নির্দেশে কড়া ভূমিকায় আছে নৌপুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবারও ভেঙ্গে ভেঙ্গে কিছু যাত্রী আসছে মাওয়ার দিকে। তবে তারা শিমুলিয়া ঘাটে না গিয়ে মাওয়া চৌরাস্তা থেকে পশ্চিমে পুরাতন ফেরি ঘাটে চলে যাচ্ছে। এখানে একটি সিন্ডিকেট চক্র ট্রলার ও সিবোট দিয়ে ওপারে চর জানাজাত ঘাটে পারাপার করে যাচ্ছিল।
খবর পেয়ে সকাল থেকে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে ৫টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। যাত্রী নামিয়ে এর মধ্যে দুটি ট্রলার পদ্মায় ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে। এর পূর্বে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ১৭টি ট্রলার পদ্মায় ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে। সর্বমোট ৪৮টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে, এর মোট ১৯টি ট্রলার আজ পর্যন্ত ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২টি সিবোটও জব্ধ করা হয়েছে অবৈধভাবে লোকজন পারাপারের জন্য। তবে এখন আর মানুষের ঢল নেই শিমুলিয়া ঘাটে। একেবারের শান্ত ঘাটের পরিস্থিতি। জরুরি পরিসেবার কিছু গাড়ি ছাড়া কোনো গাড়িই পার করা হচ্ছেনা শিমুলিয়ায় ফেরিতে।