প্রতিদিন আধাঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস করেছেন। সুস্থ থাকতে কিছু ব্যায়াম করতেই হবে। এতে করে আমাদের শরীর অ্যাক্টিভ থাকে। সহজেই মহামারি করোনা ভাইরাসও খুব সহজে কাবু করতে পারে না।
কিন্তু সব এলাকায় করোনায় আক্রান্ত পাওয়া গেছে। এই সময়ে অনেকেই বাড়ির বাইরে হাঁটতে স্বচ্ছন্দবোধ করছেন না। ভয় পাচ্ছেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের।
এমন হলে বাড়িতেই যা করতে পারেন:
• সিঁড়ি ভাঙুন, আপনি হয়ত হাজার বার এ কথা শুনেছেন। কিন্তু এটা কি জানেন, শুধুমাত্র দু’তলা সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করলে বছরে এমনি এমনিই আপনার ছয় পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমে যাবে?
• আরও মজার কথা হলো, দিনে ২ মিনিট করে সপ্তাহে ৫ দিন সিঁড়ি বেয়ে ওঠা হলো ৩৬ মিনিট হাঁটার সমান। নিজেকে একটা সহজ টার্গেট দিন
• ধরুন-প্রথম সাতদিনে একতলা সিড়ি বেয়ে উঠে লিফট নেবেন। তারপরের সপ্তাহে দু’তলা উঠে লিফট নিন। এর সাত দিন পরে তিন তলা উঠে লিফট নিন
• এভাবে প্রতিদিন ৬ তলা পর্যন্ত সিঁড়ি ভাঙার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করুন। (সিঁড়ির ধাপ প্রতি তলায় ১০টি যেখানে, ৩ তলা = ৬০ ধাপ) ধাপ কম-বেশি নিজে নিজে অ্যাডজাস্ট করে নিন। ওপরে উঠতে যে পরিমাণ শক্তি লাগে, নিচে নামতে তার আর্ধেক শক্তি ক্ষয় হয়
• প্রতিদিন ১০ হাজার ধাপ হাঁটুন। পেডোমিটার নামে যন্ত্র আপনি কত ধাপ হাঁটছেন তা মেপে দেবে। মোবাইলেও অ্যাপ পাওয়া যায়
• তবে এই ধাপগুলো একবারে হাঁটলে হবে না। প্রতি আধাঘণ্টা পর পর ১ থেকে ৩ মিনিট হাঁটুন
• ফোন এলে দাঁড়িয়ে, বা হেঁটে হেঁটে কথা বলুন
• করোনার সময়ে ঘরের ফার্নিচার এমনভাবে সাজান যেন বসার জায়গা কমে যায় আর বেশি হাঁটা এবং দাঁড়ানোর প্রয়োজন হয়। যেমন, খাবার পানিটা দূরে রাখুন,
• অফিসে নিজের চা, পানি, নিজেই নিয়ে নিলে একটু বাড়তি হাঁটা হয়ে যাবে
• ছাদে, বারান্দায়, বেসিনের ওপর ছোট ছোট টবে গাছ লাগান। প্রতিদিন পানি দিন। মাটি খুঁচিয়ে দিন। কিছু কিছু গাছ আছে যেগুলো ছায়ায় রাখা যায়। সেগুলো ঘরে রাখুন। এতে ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ হবে। সেই সঙ্গে আপনার নড়াচড়াও হয়ে যাবে।
• নিয়ম করে ঘরের ধূলো ঝাড়ার কাজ করুন। স্বাস্থ্যকর পরিবেশের পাশাপাশি আপনার আরও একটু ব্যায়াম হয়ে যাবে।
• এভাবে ছোট ছোট কাজগুলো একটু বেশি করলে অনেক দিন সুস্থ ও ফিট থাকতে পারবেন।