বরগুনায় হৃদয় হত্যাকাণ্ডে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৪ থেকে ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বরগুনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম। রাত ১১টায় বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান হোসেন।
এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া সাতজন হলেন, এক নম্বর আসামি নোমান কাজি (১৮), দুই নম্বর আসামি হেলাল মৃধা (২৬), ছয় নম্বর আসামি সাগর গাজি (১৬), সাত নম্বর আসামি ইমন হাওলাদার (১৮), আট নম্বর আসামি রানা আকন (১৬), ১২ নম্বর আসামি সফিকুল ইসলাম ঘরামি (১৫) ও ১৫ নম্বর আসামি হেলাল ফকির (২১)।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান হোসেন বলেন, নিহত হৃদয়ের ওপর হামলার ঘটনার পরই আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করি। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহত হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, মামলা দায়েরের করার আগেই সন্দেহভাজন হিসেবে আমরা যাদের গ্রেফতার করেছি তাদের নাম মামলায় উল্লেখ থাকায় এ মামলায়ই গ্রেফতার দেখানো হবে। যেহেতু এ মামলায় অভিযুক্তদের আমরা এখনও গ্রেফতার করতে পারিনি তাই তাদের নাম আমরা এখনই প্রকাশ করছি না।
উল্লেখ্য যে, নিহত হৃদয় বরগুনা পৌর শহরের চরকলোনী চাঁদশী সড়কের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ও বরগুনা টেক্সটাইল ও ভোকেশনালে ইনস্টিটিউটে ১০ম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ছিল।
ঈদের দিন বিকেলে (সোমবার বিকেলে) উপজেলার গোলবুনিয়া পর্যটন এলাকায় পায়রা নদীর তীরে তার উপর হামলা করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে নদীর তীরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় নয়নের গ্রুপের (কিশোর গ্যাং) ১০/১২ জন হৃদয়ের উপর হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে মঙ্গলবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদয় মারা যায়।