ভারতে করোনায় সর্বাধিক সংক্রমণের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৩৮০ জনের দেহে মারণঘাতী এ ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৩ জনের। ফলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। রোববার সকালে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত তিনদিনের রেকর্ড সংক্রমণের নিরিখে ভারত এখন করোনায় সবচেয়ে বিধ্বস্ত দেশের তালিকায় ৯ নম্বরে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দু’মাসের লকডাউন শেষে অবশেষে লকডাউন খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ১ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ফেজ-১।
গত এক সপ্তাহে ভারতে কোভিড-১০ সংক্রমণ ছড়িয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের শরীরে। এই সপ্তাহের গোড়ার দিকেই ভারত ঢুকে পড়ে করোনা-বিধ্বস্ত দেশের তালিকার প্রথম দশে।
সংক্রমণের দ্বিগুণ হওয়ার হার ১৫.৪ দিন থেকে কমে ১৩.৩ দিন হয়েছে বলে শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মৃত্যুহার একই রয়েছে— ২.৮৬ শতাংশ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে একথা জানা গেছে।
সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমিত রাজ্য মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ৬২ হাজার। শনিবার রাজ্য পুলিশ ১১৪ জনের সংক্রমণের কথা জানতে পেরেছে।
দিল্লিতে সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ১৮ হাজার। শনিবার রাজ্যে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ১৬৩ জন, যা একদিনের নিরিখে রাজ্যের সর্বাধিক সংক্রমণের নতুন রেকর্ড।
এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। শুক্রবার রেকর্ড সংখ্যক ১১ হাজার জন সুস্থ হয়েছেন বলে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে।
শনিবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, লকডাউনের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হল। শুধুমাত্র ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ছাড়া দেশের বাকি অংশে আগামী ৮ জুন থেকে শপিংমল ও রেস্টুরেন্ট খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
আন্তঃরাজ্য চলাচল ও পণ্য সরবরাহের উপরে জারি থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সময়সীমা কমিয়ে রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত লাগু থাকবে নাইট কার্ফু। সিনেমা, স্কুল, আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবাও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে।
সূত্র : এনডিটিভি