বৃষ্টি এলেই মাছ শিকারের ধুম পড়ে হবিগঞ্জের হাওরে। বৃষ্টির সাথে এখানে মাছ শিকারের সম্পর্ক অনেক দিনের।
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল, নবীগঞ্জ, লাখাই, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং উপজেলার অধিকাংশই হাওর এলাকা। বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে হাওর, ডোবা, খাল, বিল, পুকুর পানিতে থৈ থৈ করে। এখন জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়ের আগেই আগাম বর্ষা শুরু হয়েছে।
‘এ পানিতে মাছ শিকারের আনন্দই আলাদা’ জানালেন, বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট এলাকার বাসিন্দা সুজন মিয়া। বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাই সুজন মিয়া জাল নিয়ে হাওরে মাছ শিকার করতে যাচ্ছেন।
বলেন, ‘বৃষ্টি ছাড়া মাছ শিকারের মজা নেই। বৃষ্টি এলেই টানে টানে জালে মাছ পাওয়া যায়। ‘
প্রাকৃতিকভাবেই হাওরের পানিতে নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ জন্মায়। পানি বাড়ার সাথে মাছের প্রজনন বাড়ে। হাওরে হাজার হাজার লোকের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে মাছ শিকার করে। তারা জলাশয় থেকে মাছ শিকার করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাকীগুলো বিক্রি করে নিত্যপণ্য ক্রয় করছে। মাছ শিকারের ওপরই গড়ে উঠেছে হাওরের মানুষের জীবনধারা।
মৎস্য শিকারী সুজন মিয়া জানালেন, হাওরে এখন আর আগের মতো প্রচুর মাছ নেই। পূর্বেকার সময়ের চেয়ে এখন মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে। এতে মাছ শিকারের উপর নির্ভরশীল লোকেরা হতাশায় রয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শাহজাদা খসরু বলেন, ‘হাওর, নদী ও বিলে দেশীয় মাছ রক্ষায় অভয়াশ্রম তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলার বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানকার উৎপাদিত মাছ স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানেও যাচ্ছে। ‘