যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে অন্তত চল্লিশটি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কারফিউ ভঙ্গ করা হয়েছে যা ব্যাপক উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।
নিউইয়র্ক, শিকাগো, ফিলাডেলপিয়া ও লস এঞ্জেলসে দাঙ্গা পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার শেল ও মরিচের গুঁড়ো নিক্ষেপ করেছে।
ন্যাশনাল গার্ড রোববার বলেছে, ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভকারীরা আবারো জমায়েত হয়ে পুলিশের প্রতি মারমুখী আচরণ করেছে।
প্রতিবাদের সর্বশেষ পরিস্থিতি
রোববারও কয়েকটি জায়গায় পুলিশের গাড়ীতে আগুন ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। দাঙ্গা পুলিশও টিয়ার শেল ও ফ্ল্যাশ গ্রেনেড ছুড়ে পাল্টা জবাব দিয়েছে।
ফিলাডেলফিয়াতে স্থানীয় টিভিতে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের দৃশ্য দেখানো হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করেছেন : ‘ফিলাডেলফিয়াতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, এখন! তারা দোকান লুট করছে। আমাদের গ্রেট ন্যাশনাল গার্ডকে ডাকুন।’
ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান্টা মনিকায় লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।
মিনিয়াপোলিসে বিক্ষোভকারীদের ওপর চালিয়ে দেয়া লরি চালককে আটক করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ফুটেজগুলোতে দেখা যাচ্ছে লরিটি থেমে যাওয়ার পর লোকজন চালককে টেনে হিঁচড়ে বের করছে।
পরে চালককে অল্প আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে ক্ষয়ক্ষতির আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ডেনভারে হাজার হাজার মানুষ মুখে বেধে ও পেছনে হাত রেখে ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’ স্লোগান দিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে।
মানুষ বড় ধরণের প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে আটলান্টা, বোস্টন, মিয়ামি ও ওকলাহোমা শহরে।
কয়েকটি জায়গায় দাঙ্গা পুলিশের সাথে সহিংসতা হয়েছে।
আটলান্টায় দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে শক্তি প্রয়োগের দায়ে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এক সপ্তাহ আগে বিক্ষোভ শুরুর পর প্রায় ১০০ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
ফ্লয়েডকে হত্যার দায়ে একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি