কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার প্রতিবাদে গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বলছে আমেরিকা। স্থানীয় সময় সোমবার সকালেও হোয়াইট হাউসের সামনে প্লাস্টিকের ব্যারিয়ারে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। হোয়াইট হাউসের উত্তর দিকে অবস্থিত কিছু শৌচাগার এবং একটি যন্ত্রপাতির ঘরে আগুন ধরে যায়।
শুক্রবার রাতে বিক্ষোভ চরমে ওঠে যখন প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে জড়ো হয় কয়েক শ’ বিক্ষোভকারী। তারপর হোয়াইট হাউস লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে তারা। পরিস্থিতি এতোটাই সঙ্গিন হয়ে ওঠে যে তথাকথিত নির্ভীক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভয়ের চোটে হোয়াইট হাউসের বাঙ্কারে আত্মগোপন করেন।
প্রধানত, জঙ্গি হামলার সময় প্রেসিডেন্ট এবং শীর্ষ কর্তাদের সুরক্ষার জন্য নির্মিত ওই বাঙ্কারে ভীতসন্ত্রস্ত প্রায় এক ঘণ্টা লুকিয়েছিলেন। তবে সেখানে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প এবং তাদের ১৪ বছরের ছেলে ব্যারন ট্রাম্পও ছিলেন বলে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের সিক্রেট সার্ভিস আইন অনুযায়ী, ওই বাঙ্কারে সব শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী, সেনেটর, আমলাদের থাকার কথা।
সূত্রের খবর, বিক্ষোভের উত্তরোত্তর বৃদ্ধি দেখে নিজের সুরক্ষা সম্পর্কে নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।
এর আগে সর্বশেষবারের মতো কোনো মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বাঙ্কারে প্রবেশ করেছিলেন জর্জ ডব্লিউ বুশ। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ‘সন্ত্রাসী হামলার’ সময় তাদের পশ্চিম শাখার সব অফিস খালি করা হয়েছিল। এর পর আর কোনো প্রেসিডেন্ট বাঙ্কারে লুকিয়েছিলেন বলে খবর প্রকাশিত হয়নি বলে দি নিউ ইয়র্ক টাইমসের উদ্ধৃতি দিয়ে গার্ডিয়ান জানিয়েছে।