ভারতের সীমান্তে লাদাখের কাছে গত কয়েকদিন ধরেই পরিস্থিতি উত্তেজনাময়। সংঘাত প্রায় এক মাস ধরে চলছে, এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান মেলেনি। এমনকি দুই দেশের সেনাবাহিনীই অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অপেক্ষা করছে বলে জানা গিয়েছে।
এই অবস্থায় চীনকে কড়া জবাব দিল আমেরিকা।
আমেরিকার ‘হাউস অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি’র প্রধান ইলিয়াড এনজেল ভারতের বিরুদ্ধে সিংয়ের দাদাগিরির কড়া নিন্দা করেছেন। লাদাখে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের কাছে যে সংঘাত চলছে সেই প্রসঙ্গে বার্তা দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন সম্মানের সাথে নিয়ম মেনে চলো কূটনীতি ও উপযুক্ত পন্থা মেনে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করো।
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত ও চীনের সীমান্ত চীন যে আগ্রাসন চালাচ্ছে তাতে আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। চীন এভাবেই আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছে যে তারা আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে প্রতিবেশী দেশকে উত্তপ্ত করতে পছন্দ করে।’
তার কথায় প্রত্যেকটা দেশকে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। তিনি বলেন, ‘চীনের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, যাতে তারা যথাযথ নিয়ম মেনে ও কূটনীতি ব্যবহার করে সীমান্ত সমস্যার দ্রুত সমাধান করে ‘
সূত্রে জানা গেছে, ভারত ও চীন দুই দেশের সেনাবাহিনী অস্ত্রশসত্র নিয়ে একে অপরের দিকে এগোচ্ছে। বিতর্কিত এলাকায় সামরিক ঘাঁটির কাছে ঘোরাফেরা করছে কমব্যাট ভেইকল।
ভারতীয় সেনাও পিছপা হচ্ছে না। অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হচ্ছে সীমান্তে। ওই এলাকায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় বিমানবাহীনি।
গত কয়েকদিন ধরে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের কাছে লাদাখে চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছে দুই দেশের সৈন্য। মূলত প্যাংগং তোসো লেক ও গালোয়ান ভ্যালির কাছে এই ঘটনা ঘটছে। ওই অঞ্চলে চীনের অন্তত ২০০০ থেকে ২৫০০০ সৈন্য এগিয়ে এসেছে।
ইতোমধ্য এই এই বিষয়ে বৈঠক হয়েছে নয়াদিল্লিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অজিত দোভাল বৈঠক করেছেন। পাশাপাশি, তিন বাহিনীর প্রধানেরাও বৈঠক করে গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছেন।