বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছেন রানু মন্ডল। কিংবদন্তি শিল্পী লতা মঙ্গেশকরের ‘প্যায়ার কা নাগমা’ গান গেয়ে রাতারাতি সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে আলোচিত হন তিনি। বাকিটা যেন কোনো সিনেমার গল্প!
এক সময় পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাট স্টেশন চত্বরে যে রানুর বসবাস ছিল পরবর্তী সময়ে তিনি সুযোগ পান বলিউডে। হিমেশ রেশমিয়ার ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির’ সিনেমার ‘তেরি মেরি কাহানি’ গানে কণ্ঠ দিয়ে খ্যাতি পান রানু।
এরপর ভালোই কাটছিল তার সময়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি দেখলেই বোঝা যেত, গ্ল্যামার জগতের চাকচিক্যের ছোঁয়া লেগেছে। কিন্তু বৃত্ত ঘুরে যেন আগের অবস্থানে ফিরে এসেছেন রানু। ক’দিন আগেও যে রানু দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন এখন তিনি নিজেই খেয়ে, না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
জানা গেছে, মাস দুই আগে কেরালায় একটি শো করতে গিয়েছিলেন রানু। সেটিই শেষ। এরপর আর কোনো শো নেই। আলোচনায় আসার পর যারা তার বাড়িতে ভিড় জমাতো তারাও এখন আর আসেন না। সবমিলিয়ে অসহায় রানু মন্ডল।
তার ভাষায়, ‘কেরালা থেকে বাড়ি ফেরার পর টানা পাঁচদিন প্রায় না খেয়েই কাটাতে হয়েছে। কেউ খোঁজ নিতে আসেনি। এখনো ঠিকমতো খাবার পাই না। কোনোদিন ভাত জোটে। কোনোদিন জোটে না। মুড়ি কিংবা কোনো সবজি সিদ্ধ করে তা খেয়েই থাকতে হয়। মাঝেমধ্যে কেউ এসে একটু চাল-ডাল সাহায্য করে যায়।’