1. kaium.hrd@gmail.com : ময়মনসিংহের কাগজ প্রতিবেদক :
  2. editor@amadergouripur.com : Al Imran :
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ময়মনসিংহে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশী অস্ত্রসহ মাদক উদ্ধার গৌরীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, ২৪ ঘন্টায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরাম ময়মনসিংহ জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা।। আহ্বায়ক ফরহাদ, সদস্য সচিব রবিন শেখ হাসিনার শেষ ৫ বছরে ১৬ হাজারের বেশি খুন গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-আমিন, সম্পাদক বিপ্লব ময়মনসিংহে ট্রাক সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালক নিহত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শিমুর বিরুদ্ধে মামলা গৌরীপুরে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি সি ইউ নট ফর মাইন্ড’ খ্যাত সেই শ্যামল গ্রেফতার জুলাই বিপ্লবের কন্যাদের গল্প শুনলেন ড. ইউনূস

গলা পানিতে ডুব দিয়ে ধান কাটছেন কৃষক

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৩ জুন, ২০২০
  • ২১৫ Time View

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার খলসি ইউনিয়নের কুমুরিয়া গ্রামের কৃষক ইয়াকুব আলী। এ বছর পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। কিন্তু আকম্মিক পানিতে তলিয়ে গেছে তার সাড়ে তিন বিঘা জমির ধান। অথৈয় পানিতে ডুবে ডুবে তিনি কিছু ধান তুলতে পারলেও বেশির ভাগই পানির নিচেই পচে যাচ্ছে।

ইয়াকুবের মতো একই অবস্থা ওই গ্রামের শতাধিক কৃষকের। পানিতে থৈ থৈ করছে তাদের বোরো ধানের মাঠ। ক্ষেতের পাকা ধান তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা কৃষকরা।

করোনা দুর্যোগে বাইরে কাজ কর্ম বন্ধ। তাই এবার বোরো আবাদের দিকেই সময় দিয়েছেন বেশিরভাগ কৃষক। কারণ এই ধানই তাদের পরিবারের সারা বছরের খাবার যোগায়। অনেকেই আবার নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে ধান বিক্রি করেন। সেই অর্থ দিয়েই চলে সারা বছরের অন্যান্য খরচ।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রচুর বৃষ্টিপাত ও পদ্মা-যমুনায় হঠাৎ পানি বাড়ায় জেলার দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলার নিচু এলাকায় পানি ঢুকে পড়ে। এ সময় এলাকায় উঠতি বোরো ধান, বাদাম, তিলসহ অনেক ফসল পানির নিচে তলিয়ে যায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বোরো ধানের। অনেকে বাধ্য হয়ে আধাপাকা ধান কেটে ফেলতেও বাধ্য হচ্ছেন। আর পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া ধান পচে যাচ্ছে। ফলে এ বছর জেলায় ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কুমুরিয়া গ্রামের আরেক কৃষক আনন্দ হালদার। তাকে দেখা গেল কোমর সমান পানিতে দাঁড়িয়ে ধান কাটছেন। জানান, এনজিও থেকে তার ঋণ নেয়া আছে। ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণও নেয়া আছে। ধান বিক্রি করেই তিনি সব ঋণ পরিশোধ করবেন বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু স্বপ্নের সেই সোনালি ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন তিনি। এখন পরিবারের খাবার কীভাবে জুটবে, তা ভেবে দিশেহারা তিনি।

আকম্মিক পানিতে জেলায় কী পরিমাণ ধানের ক্ষতি হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই কৃষি বিভাগের কাছে। তবে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন- ক্ষতি নিরুপণে কাজ করছেন তারা।

দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে নদীতে আকম্মিক পানি বাড়ায় বেশ কিছু নিচু এলাকায় বোরো ধান তলিয়ে গেছে। তিনি নিজেও কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখেছেন।

তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারি প্রণোদনার আওতায় আনার কাজ চলছে। এজন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© Designed and developed by Mymensinghitpark